০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় নিখোঁজের একদিন পর কমিশনারের ছেলের মরদেহ উদ্ধার দুই একটা দলের সঙ্গে আলাপ করে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না -হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লায় অসুস্থ বাবাকে দেখতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত ধ্রুবতারার রজতজয়ন্তী উদযাপন; অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও বিশেষ গীতি-নৃত্যালেখ্য জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগে গণতান্ত্রিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে -ডা. হারুন আল রশিদ মালদ্বীপে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ফোরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসন পূনর্বিন্যাসে নতুন মেরুকরণ বুড়িচংয়ে সেই যুবদল নেতাকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ; জেলা কমিটিকে তলব মানবিক কুমিল্লার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিল পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যেক মানুষের সাফল্যের পথ আলাদা -হাসনাত আব্দুল্লাহ

বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন কুমিল্লার চিকিৎসক দুই ছেলে

  • তারিখ : ১২:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 24

স্টাফ রিপোর্টার।।
বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল একদিন দুই সন্তান চিকিৎসক হবেন। গ্রামের মানুষের পাশে থাকবেন। বাবা মা নেই। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজ গ্রামেই মানুষের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক দুই ভাই। ঘটনাটি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ঘোড়াময়দান এলাকার। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী গ্রামেজুড়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছে।

জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার উপজেলা ঘোড়াময়দান গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা ও নিলুফার মোল্লা দম্পতির সন্তানরা এই ফ্রি মেডিক্যাল সেবার ব্যবস্থা করেছে। তাদের মধ্যে ডা. ইব্রাহিম খলিল মেডিসিন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বাত-ব্যাথা ও উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ের চিকিৎসা সেবা দেন। আর তার ভাই ডা. খালেদ মোশারফ স্নায়ুরোগ, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিষয়ে চিকিৎসা সেবা দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসক দুই ভাইয়ের মামা জহিরুর ইসলাম মজুমদার বলেন, আমার বোন ও ভগ্নিপতি বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ছিল তাদের দুই ছেলে গ্রামের মানুষের পাশে থাকবে। এই আয়োজনে এলাকার তিন শতাধিক মানুষ সেবা নিয়েছে। আমার বোন আর ভগ্নিপতি বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতেন। ভাগিনারা বলেছে এই ফ্রি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। এবার তারা ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছে। পরের বার ফ্রি মেডিসিনসহ অন্যান্য সেবা দেয়ার চিন্তা রয়েছে।

সেবা নিতে আসা পাশ্ববর্তী মানিকমুড়া গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা চিকিৎসা নিতে কুমিল্লা নাহয় ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু ফ্রি চিকিৎসা সেবার কথা শুনে আসলাম। অনেক লম্বা লাইন অতিক্রম করে ভাতিজাদের পরামর্শ নিলাম। তবে আমরা চাই তাদের এই সেবা অব্যাহত থাকুক। গ্রামের মানুষ অন্তত্য সেবা পাবে।

ডা. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত গ্রাম। এখানকার মানুষ শহরে চিকিৎসা নিয়ে অনেক ব্যয় করতে হয়। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি ফ্রি সেবা দেয়ার জন্য। আমাদের এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও যদি কেউ আমাদের সহযোগীতা নিতে চায় আমরা প্রস্তুত। আমরা বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি। সবাই আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

error: Content is protected !!

বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন কুমিল্লার চিকিৎসক দুই ছেলে

তারিখ : ১২:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল একদিন দুই সন্তান চিকিৎসক হবেন। গ্রামের মানুষের পাশে থাকবেন। বাবা মা নেই। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজ গ্রামেই মানুষের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক দুই ভাই। ঘটনাটি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ঘোড়াময়দান এলাকার। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী গ্রামেজুড়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছে।

জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলার উপজেলা ঘোড়াময়দান গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লা ও নিলুফার মোল্লা দম্পতির সন্তানরা এই ফ্রি মেডিক্যাল সেবার ব্যবস্থা করেছে। তাদের মধ্যে ডা. ইব্রাহিম খলিল মেডিসিন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বাত-ব্যাথা ও উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ের চিকিৎসা সেবা দেন। আর তার ভাই ডা. খালেদ মোশারফ স্নায়ুরোগ, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিষয়ে চিকিৎসা সেবা দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসক দুই ভাইয়ের মামা জহিরুর ইসলাম মজুমদার বলেন, আমার বোন ও ভগ্নিপতি বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ছিল তাদের দুই ছেলে গ্রামের মানুষের পাশে থাকবে। এই আয়োজনে এলাকার তিন শতাধিক মানুষ সেবা নিয়েছে। আমার বোন আর ভগ্নিপতি বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতেন। ভাগিনারা বলেছে এই ফ্রি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। এবার তারা ফ্রি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছে। পরের বার ফ্রি মেডিসিনসহ অন্যান্য সেবা দেয়ার চিন্তা রয়েছে।

সেবা নিতে আসা পাশ্ববর্তী মানিকমুড়া গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা চিকিৎসা নিতে কুমিল্লা নাহয় ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু ফ্রি চিকিৎসা সেবার কথা শুনে আসলাম। অনেক লম্বা লাইন অতিক্রম করে ভাতিজাদের পরামর্শ নিলাম। তবে আমরা চাই তাদের এই সেবা অব্যাহত থাকুক। গ্রামের মানুষ অন্তত্য সেবা পাবে।

ডা. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত গ্রাম। এখানকার মানুষ শহরে চিকিৎসা নিয়ে অনেক ব্যয় করতে হয়। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি ফ্রি সেবা দেয়ার জন্য। আমাদের এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও যদি কেউ আমাদের সহযোগীতা নিতে চায় আমরা প্রস্তুত। আমরা বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি। সবাই আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন।