০১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কীটনাশক দোকানে জরিমানা কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত, আহত ৪ কুমিল্লা নগরীর বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ট্রাক চালককে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পুকুর ও জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ মনোহরগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন বুড়িচংয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজেনে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বৃক্ষ রোপণ ও চারা বিতরণই যার নেশা

  • তারিখ : ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • 25

মাহফুজ নান্টু।।
যেখানে খালি জায়গা পান সেখানেই বৃক্ষের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি বাড়ী বাড়ী গিয়ে বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন। সদর এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলে যান। মোটর বাইকে বৃক্ষের চারা নিয়ে ছুটেন৷ কাদোল খন্তা সাথে রাখেন। খালি জায়গায় চারা রোপণ করে চলে আসেন।

মোজাম্মেল আলম। পেশায় ঠিকাদার। পেশাগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি রোপণ করেছেন ১০ হাজার বৃক্ষের চারা। বিতরণও করেছেন আরো অন্তত ১০ হাজার গাছের চারা।

কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কাঠ বাদাম, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, খেজুর, মেহগনিসহ অসংখ্য গাছ চোখে পড়ে। যার বেশীর ভাগই রোপণ করেছেন ঠিকাদার মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল আলম জানান, ২০০৯/১০ সাল থেকে তিনি বৃক্ষরোপণ আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে তিনি বাসার ছাদে গড়ে তোলেন ছাদ বাগান। ছাদে তিনি সবজি, ফুল ফলসহ অসংখ্য বৃক্ষ রোপণ করেন পরিবারের জন্য বিষমুক্ত ফল সবজির সংস্থান করার জন্য।

মোজাম্মেল আলম বৃক্ষ নিয়ে কাজ করার সুবাদে কুমিল্লা বাগান পরিবার, গার্ডেন লাভার্স অব বাংলাদেশ, ভেজিটেবল জোন, গ্রীন গার্ডেন সোসাইটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোজাম্মেল আরো জানান, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে যে কাঠবাদাম গাছ গুলো আছে তার লাগানো। পুলিশ লাইন প্রাইমারি স্কুলের সামনে কাঠবাদাম, নগরীর পার্কে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, খেজুর গাছ, ঈদগাহের ভেতরে খুরমা খেজুর, রেল স্টেশনে স্টিলের ব্যারিকেডের মধ্যেও খুরমা খেজুর সোনালু, লিচু, রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়েছেন।

নগরীর টমছমব্রীজ মাজার রোডে কলেজ রোডের কাঠবাদাম গাছ, প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেতরে এবং আরবান হেলথ এর সামনের গাছ গুলোও তার রোপণ করা।

শুধু জেলা সদরে নয় মোজাম্মেল আলম জানান, তিনি বিভিন্ন উপজেলাতেও বৃক্ষের চারা নিয়ে ছুটে যান প্রকৃতিপ্রমীদের কাছে। যারা গাছ ভালোবাসেন তাদের কাছে।

বিশেষ করে জেলার লাকসাম উপজেলার খিলা, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর, দেবিদ্দার উপজেলার ফখরুল ইসলাম মুন্সী কলেজ, দেবিদ্দার সূর্যপুর গ্রামে কবরস্থানসহ সদর উপজেলার বিবির বাজার ইমিগ্রেশনের সামনে, সদর দক্ষিন উপজেলার সুয়াগাজী কানন রেস্ট হাউজের সামনে সহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়নেই তিনি বৃক্ষের চারা রোপণ করেছেন।

মোজাম্মেল জানান, তিনি প্রকৃতিকে ভালোবাসেন। প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর রুপ বৃক্ষ। যা থেকে সব সময় মানুষ উপকৃত। সবাই মিলে গাছ লাগালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরান বলেন, মোজাম্মেল হকের বৃক্ষরোপণ আন্দোলন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাসবাস উপযোগী দেশ গড়ার জন্য মোজাম্মেল হকের মত সবাই এগিয়ে আসার প্রয়োজন।

বৃক্ষ রোপণ ও চারা বিতরণই যার নেশা

তারিখ : ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

মাহফুজ নান্টু।।
যেখানে খালি জায়গা পান সেখানেই বৃক্ষের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি বাড়ী বাড়ী গিয়ে বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন। সদর এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলে যান। মোটর বাইকে বৃক্ষের চারা নিয়ে ছুটেন৷ কাদোল খন্তা সাথে রাখেন। খালি জায়গায় চারা রোপণ করে চলে আসেন।

মোজাম্মেল আলম। পেশায় ঠিকাদার। পেশাগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি রোপণ করেছেন ১০ হাজার বৃক্ষের চারা। বিতরণও করেছেন আরো অন্তত ১০ হাজার গাছের চারা।

কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কাঠ বাদাম, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, খেজুর, মেহগনিসহ অসংখ্য গাছ চোখে পড়ে। যার বেশীর ভাগই রোপণ করেছেন ঠিকাদার মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল আলম জানান, ২০০৯/১০ সাল থেকে তিনি বৃক্ষরোপণ আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে তিনি বাসার ছাদে গড়ে তোলেন ছাদ বাগান। ছাদে তিনি সবজি, ফুল ফলসহ অসংখ্য বৃক্ষ রোপণ করেন পরিবারের জন্য বিষমুক্ত ফল সবজির সংস্থান করার জন্য।

মোজাম্মেল আলম বৃক্ষ নিয়ে কাজ করার সুবাদে কুমিল্লা বাগান পরিবার, গার্ডেন লাভার্স অব বাংলাদেশ, ভেজিটেবল জোন, গ্রীন গার্ডেন সোসাইটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোজাম্মেল আরো জানান, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে যে কাঠবাদাম গাছ গুলো আছে তার লাগানো। পুলিশ লাইন প্রাইমারি স্কুলের সামনে কাঠবাদাম, নগরীর পার্কে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, খেজুর গাছ, ঈদগাহের ভেতরে খুরমা খেজুর, রেল স্টেশনে স্টিলের ব্যারিকেডের মধ্যেও খুরমা খেজুর সোনালু, লিচু, রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়েছেন।

নগরীর টমছমব্রীজ মাজার রোডে কলেজ রোডের কাঠবাদাম গাছ, প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেতরে এবং আরবান হেলথ এর সামনের গাছ গুলোও তার রোপণ করা।

শুধু জেলা সদরে নয় মোজাম্মেল আলম জানান, তিনি বিভিন্ন উপজেলাতেও বৃক্ষের চারা নিয়ে ছুটে যান প্রকৃতিপ্রমীদের কাছে। যারা গাছ ভালোবাসেন তাদের কাছে।

বিশেষ করে জেলার লাকসাম উপজেলার খিলা, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর, দেবিদ্দার উপজেলার ফখরুল ইসলাম মুন্সী কলেজ, দেবিদ্দার সূর্যপুর গ্রামে কবরস্থানসহ সদর উপজেলার বিবির বাজার ইমিগ্রেশনের সামনে, সদর দক্ষিন উপজেলার সুয়াগাজী কানন রেস্ট হাউজের সামনে সহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়নেই তিনি বৃক্ষের চারা রোপণ করেছেন।

মোজাম্মেল জানান, তিনি প্রকৃতিকে ভালোবাসেন। প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর রুপ বৃক্ষ। যা থেকে সব সময় মানুষ উপকৃত। সবাই মিলে গাছ লাগালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরান বলেন, মোজাম্মেল হকের বৃক্ষরোপণ আন্দোলন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাসবাস উপযোগী দেশ গড়ার জন্য মোজাম্মেল হকের মত সবাই এগিয়ে আসার প্রয়োজন।