মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। শনিবার ( ৯ নভেম্বর ) উপজেলার সদর বাজারে ব্রাহ্মণপাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধির ব্যানারে এ দোকান চালু করা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে এ ন্যায্য মূল্যের দোকান। সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের স্বস্তি ফেরাতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। প্রতি শনি ও বুধবার এ ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু থাকবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নানারকম শাকসবজি দিয়ে সাজানো ন্যায্য মূল্যেের এই দোকানে সমসাময়িক বাজারদর থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়ায় এই দোকান সাড়া ফেলেছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগ থেকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ বলেও মনে করছেন তারা।
ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে বাজার করেছেন সফিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে জিনিসপত্রের দাম সে তুলনায় কিছুটা কম। তাই ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে বাজার করেছি।
আরেক ক্রেতা মৌসুমি আক্তার বলেন, শুনেছি ছাত্রদের দেয়া ন্যায্য মূল্যের দোকানে জিনিসপত্রের দাম কম। তাই এখানে এসেছি প্রয়োজনীয় কিছু সবজি কিনতে। ছাত্ররা কম মূল্যে জিনিসপত্র দিতে পারলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছে না ? এটা এখন সময়ের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে এটা ছাত্ররা প্রমাণ করেছে এই ন্যায্য মূল্যের দোকান দিয়ে।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের ন্যায্য মূল্যের দোকানের দায়িত্বে থাকা শাকিল আহমেদ জানান, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সিন্ডিকেট প্রথার বিলোপ ঘটাতে হবে। সাধারণ ক্রেতাদের ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র রমজান আলী, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন রিফাত, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page