মো.জাকির হোসেন।।
‘মানবতার টানে,দুর্গতদের পাশে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সমাজের অসহায় দুর্গত মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করা বুড়িচংয়ের মিথলমা সমাজকল্যান ট্রাষ্টের উদ্যেগে গতকাল বৃহস্পতিবার বন্যা দুর্গত বুড়িচং ও ব্রাহ্মনপাড়ার ৪টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩’শতাধিক পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার,পানি,ঔষধ,স্যালাইনছাড়াও ৬’শ কেজি পশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। এসময় সংগঠনটির প্রায় ২৫জন স্বেচ্ছাসেবী ত্রান বিতরণে উপস্থিত ছিলেন।
বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়নের মিথলমা গ্রাম। এই গ্রামের নামেই মিথলমা সমাজকল্যান ট্রাষ্ট্রের নামকরণ। সমাজের অবহেলিত,প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত ঝড়,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সেবাদানে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা। গত ২২ আগষ্ট বুড়িচংয়ের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙ্গে গেলে বুড়িচং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় লক্ষাধিক মানুষ।
এসময় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণে এগিয়ে আসে । মিথলমা সমাজকল্যান ট্রাষ্টের সদস্যরাও এই ব্রত নিয়ে নিজ এলাকার প্রবাসীসহ স্বচ্ছল গ্রামবাসীর সহায়তায় দুর্গতদের সাহায্যে অর্থ,খাবার,ঔষধসহ বিভিন সামগ্রী সংগ্রহ শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সেই সংগ্রহকৃত অর্থ ও সাহায্যে দুর্গতদের জন্য ৮’শ প্যাকেট খাবার ,ঔষধ,স্যালাইন,পানি, গবাদিপশুদের জন্য ৬’শ কেজি ভূষি নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য উপজেলার পীরযাত্রাপুর,ষোলনল, বুড়িচং সদর ও বাকশীমুল ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামে ১টি স্পীড বোট ও ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ঘুরে বিতরণ করেন।
সংগঠনটির সভাপতি মো.লুৎফুর রহমান মাষ্টারের নেতৃত্ব বিতরণের সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, গাজীউর রহমান, উপদেষ্টা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি আবুল বাশার, বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ নাসিম, সদস্য ফয়সার আহমেদ, প্রচার সম্পাদক জাকির মেম্বারছাড়াও গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী অনেক তরুন-যুবক উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক মাহাদি মোহাম্মদ মাহিদ ত্রান বিতরণের উদ্দেশ্য নিয়ে জানান, আমাদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামের অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সাহায্য যেমন বিয়ে, রমজান-ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সাহায্য, বাড়ি নির্মান, অসহায় পরিবারের চিকিৎসা সেবাসহ করোনা কালীন সময়েও মানুষের পাশে ছিল।
এছাড়াও দেশের দুর্যোগকালীন সময়েও সাধ্যমতো সংগঠনটি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে। তিনি আরো জানান, আমাদের এই সংগঠনটির মুল চালিকা শক্তি বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত গ্রামের প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারাসহ গ্রাম সাধারন গ্রামবাসী। তাদের সহযোগীতা না পেলে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন সম্ভব হতো না। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ত্রান বিতরণকালে সর্বোতভাবে সহযোগীতা করেন কংশনগর মানবতার হাত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল কাইয়ুম এবং স্বেচ্ছাসেবী আবিদপুর এলাকার মোঃ মাইনুদ্দিন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page