
কুমিল্লা নিউজ।।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো. সোহেল রানা (৩০), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭), ছেলে রাইসুল ইসলাম (৫) তাদের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে। সোহেল রানা ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুট হন।
এছাড়াও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার আরাদ্ধা দে (১১), কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার বেনন দে (৫৫), নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার আনিকা আক্তার (১৯) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী (৩৫) নিখোঁজ রয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে পুলিশের কনস্টেবল ও তার পরিবারের সদস্যসহ অন্যরা ট্রলারটিতে করে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যার দিকে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবিত ১২ জন এবং অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, এখনো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এসে পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।