
আরাফাত হোসেন, বরুড়া।।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যেগে দেশের প্রতিটি ৩০০ টি সংসদীয় আসনে স্থাপিত হতে যাচ্ছে ” শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার’। তার প্রেক্ষিতে বরুড়া উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে বরুড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় যে বিদ্যালয়ে প্রত্যেক পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার ৯৯%,কুমিল্লা বোর্ডের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসঃ
তৎকালীন বরুড়া পৌরসদরে কোন হাই স্কুল না থাকায় বরুড়ার শ্রেষ্ঠ সন্তান মরহুম হাজী নোয়াব আলী সাহেব নিজ জমিতে বিদ্যালয় করতে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে নিজ উদ্যেগে বিদ্যালয় নির্মানে পরিশ্রম করেন।তার পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ এই বিদ্যালয়টি কুমিল্লা বোর্ড পর্যাযে বিভিন্ন পরীক্ষায় ২য় স্হান অধিকার করেছে।মরহুম হাজী নোয়াব আলীর ৪৮ শতক জমির উপর ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, তখন থেকে টিনের ঘর দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলত,তারপর দক্ষিন দিকে ৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়।১৯৬৮ সাল থেকে অনেক সুনামের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।মরহুম হাজী নোয়াব আলী মৃত্যুর পর তার ছেলে হাজী জুনাব আলী বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব এক যুগ পালন করেন,এবং তিনি বিদ্যালয়ের মাঠ সম্প্রসারনের জন্য অনেক জমি বিদ্যালয়ে নামে দেন।বর্তমানে তিনি বৃদ্ধ হওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যতয় যেন না ঘটে তাই সভাপতির পদ ত্যাগ করে, বর্তমান বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দীন লিংকনকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৬০০/৮০০ জন শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি হচ্ছে,এবং প্রতি বছর ৪০০/৫০০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ৩ টি একাডেমিক ভবন ১ টি ৩ তলা বিশিষ্ট ছেলেদের ছাত্রাবাস ও ২৮০০/৩০০০জন শিক্ষার্থী ও ৬০ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কাযক্রম চলছে।
কুমিল্লা ০৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপি মহোদয়ের উদ্যেগে বিদ্যালয়টিকে আধুনিকায়ন করতে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে” শেখ রাসেল ফিউচার অব স্কুল” প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যেখানে ১০ তলা ভবন, আধুনিক কম্পিউটার ক্লাসরুম,মনোরুম পরিবেশে ওয়াশরুম সহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। এই বিদ্যালয়টিতে ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারবে।
জানা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ” শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প ( ২য় পর্যায় ) এর আওতায় সারাদেশের সংসদীয় আসনে ১ টি করে মোট ৩০০ টি “শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার” স্থাপিত হতে যাচ্ছে । ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সারাদেশের আইসিটি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন ,আইসিটিরি নিত্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে লক্ষ্যে এই ” শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার ” স্থাপন করা হচ্ছে । এতে করে শিক্ষার্থীরা, তরুণ-তরুণীরা আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থনের সক্ষমতা অর্জনে সম্ভব হবে।