নিজস্ব প্রতিবেদক।
বুদ্ধিভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা ও নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি সুসংগঠিত অবস্থায় রয়েছে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দিয়েছেন।
এসব কমিটিতে স্থান পেয়েছেন দলের নিবেদিত কর্মীরা। নতুন কমিটির নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো দলটির কুমিল্লা মহানগর ইউনিট।
শুধু মহানগরের ওয়ার্ডেই নয়, কুমিল্লা -৬ নির্বাচনী এলাকায় সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডেও সাংগঠনিক কমিটি করা হয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন আয়োজনে সম্মেলন ও একের পর এক কর্মীসভা আয়োজন করায় দলের তৃণমূলের রাজনীতিতেও প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বাধীনতার পরে প্রথমবারের মত কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ এত বেশী সুসংগঠিত হলো।
দলটির একাধিক নেতা জানান, গেলো বছর নভেম্বরে কুমিল্লা টাউনহলে মহানগর আওয়ামীলীগ ও আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়। তারপর থেকেই মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটা প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লায় এখন আওয়ামী রাজনৈতিক চর্চা বেড়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। এতে বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন তরুণরা। এমন মূল্যায়নে দলটির কর্মসূচীতে তরুণদের অংশগ্রহণ বেড়েছে চোখে পড়ার মত।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, আমরা নগর কুমিল্লার প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি করেছি। যাচাই বাছাই করে দলের জন্য যারা নিবেদিত তাদের হাতেই ওয়ার্ডের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলো না। এখন প্রতিদিনই মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে নেতাকর্মীরা আসেন। তাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে দলের অফিসটি।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ নুরুর রহমান বলেন, আমরা ১ মাস ১১ দিনের মধ্যে কুমিল্লা নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করেছি। কমিটি দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে এমন ঘটনা বিরল।
এই সম্মেলনগুলো ঘিরে নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। যোগ্যদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের এই কাজগুলো অবশ্যই দলের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। সে বিষয়টা জানান দিতে পেরেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমরা সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সেক্ষেত্রে কমিটির বিকল্প নেই। আমরা সেটা পেরেছি।
সূত্র- রূপসী বাংলা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page