হোমনায় ভুল চিকিৎসার প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; বড় অঙ্কের টাকায় রফা!

সোনিয়া আফরিন।।
হোমনায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল অপারেশনে মাহমুদা আকাতার(৪৫) নামেরর এক প্রসুতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে হোমনা পৌর সভার লটিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে. গত শুক্রবার গর্ভবতী মাহমুদার প্রসব বেদনা উঠলে এক দালালের মাধ্যমে তাকে হোমনা হাসপাতাল রোডের ” হোমনা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টারদিকে কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই মাহমুদাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় হাসপাতালের লোকজন। এ সময় ডা: দিলশাদ বেগম ভুলে এসেসথেসিয়া দেয়া ছাড়াই সিজার অপারেশন করার জন্য কাচি চালালে রোগী চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারায় পরবর্তীতে অপারেশন সম্পন্ন না করে ক্ষতস্থানের রক্তবন্ধ না করে তড়িঘড়ি করে ঢাকায় রেফার করে। ঢাকা নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়।

পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ২ লাখ টাকায় রফাদফা করে সকাল ১১ টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।

লোকজনের অভিযোগ ডা: দিলশাদ বেগম নিদিষ্ট ক্লিনিকে চেম্বার করেনি। উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চুক্তিতে সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন। শুক্রবার বিকালে ডাঃ দিরশাদ বেগম কমিশনের লোভে রোগীকে কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই অপারেশন শুরু করেন।

পরে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকায় রেফার করেন। কিন্ত অপরেশনের ক্ষতস্থানের রক্ত বন্ধ না হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রাস্তায়ই তার মৃত্যু হয়। মাহমুদা আকাতার ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও হোমনা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। এ নিয়ে ভুল চিকিৎসায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জানাগেছে, হোমনা সেন্ট্রাল হাসপাতালের কোন বৈধ কাগজপত্র বা লাইসেন্স নেই। প্রশাসনের চোখের সামনে একের পর এক ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারনে পার পেয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডাঃ দিলশাদ বেগমের মুঠোফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া য়ায়।

তবে হাসপাতালের পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন,রোগীর আলগা দোষ ছিল। অপারেশন করার সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ডাঃ মেডাম ঢাকায় রেফার করেন। রাস্তার মাঝেই তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার জানান, আমি মাসিক সভায় বরুড়ায় আছি। কোন অভিযোগ পাইনি। তার পরেও তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রুমন দে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

You cannot copy content of this page