
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম হাসান (এম এম হাসান)-এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার রাতে ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল ইসলাম শাকিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রেক্ষাপটে নির্বাচিত নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট তিনটি শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ড্যাবের কুমিল্লা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমানসহ জেলা ও মহানগর কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কোটি টাকার কেনাকাটায় লুটপাটের অভিযোগ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০২৪–২৫ অর্থবছরের কেনাকাটায় ২৪ কোটি টাকার মধ্যে চার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও ড্যাব জেলা শাখার সভাপতি এম এম হাসান জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়।
গত রোববার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা, জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে অনিয়ম–দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, ড্যাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ
সভা চলাকালে উপস্থিত হন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ড্যাব মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ হায়দার। তিনি উপস্থিত সবার সামনে জেলা সভাপতি এম এম হাসানের বিরুদ্ধে কেনাকাটার অর্থ লোপাটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় অভিযুক্ত এম এম হাসানও সভায় উপস্থিত ছিলেন। আরিফ হায়দারের বক্তব্যে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সেগুলোকে ভিত্তিহীন দাবি করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি মিনহাজুর রহমান তারেক। সেখানে বক্তারা এম এম হাসানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান।
অভিযুক্তদের দাবি
এদিকে অভিযোগ প্রকাশের পর থেকেই এম এম হাসান ও হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজ দাবি করেছেন, ড্যাবের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।