০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কীটনাশক দোকানে জরিমানা কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত, আহত ৪ কুমিল্লা নগরীর বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ট্রাক চালককে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পুকুর ও জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ মনোহরগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন বুড়িচংয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজেনে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুমিল্লায় প্রভাষক মুনার মৃত্যুর ৪ দিন পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

  • তারিখ : ০৭:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 3

নেকবর হোসেন।।
আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন কুমিল্লায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রভাষক তাহমিনা মুনার (৩২) স্বামী সুমন সালাউদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে তার রিমান্ড সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হানিফ সরকার।

হানিফ সরকার বলেন, সুমন সালাউদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণের খবর পেয়েছি। তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। আদালত পরের শুনানিতে রায় দেবেন।

কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, মুনার স্বামী সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রিমান্ডের খবর পাইনি। সে আমাদের হেফাজতে আছে।

এর আগে, প্রভাষক মুনার মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে মামলা করেছেন নিহতের ভগ্নিপতি তারেকুল ইসলাম। বুধবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

তাহমিনা মুনা কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় এলাকার মো. ইউনুসের মেয়ে। স্বামীর বাড়ি চান্দিনা উপজেলার হারং ভূঁইয়া বাড়িতে। গত ২৯ আগস্ট রাতে নগরীর রেইসকোর্সের ভাড়া বাসায় গ্যাসের আগুন প্রথমে দগ্ধ হন তিনি। এ সময় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন মুনার কোমরসহ শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে কুমিল্লা মডেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১১ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ১০ম। তার দুই বছর তিন মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সহকর্মী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশ করেছেন।

কুমিল্লায় প্রভাষক মুনার মৃত্যুর ৪ দিন পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

তারিখ : ০৭:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেকবর হোসেন।।
আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন কুমিল্লায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রভাষক তাহমিনা মুনার (৩২) স্বামী সুমন সালাউদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে তার রিমান্ড সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হানিফ সরকার।

হানিফ সরকার বলেন, সুমন সালাউদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণের খবর পেয়েছি। তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। আদালত পরের শুনানিতে রায় দেবেন।

কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, মুনার স্বামী সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রিমান্ডের খবর পাইনি। সে আমাদের হেফাজতে আছে।

এর আগে, প্রভাষক মুনার মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে মামলা করেছেন নিহতের ভগ্নিপতি তারেকুল ইসলাম। বুধবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

তাহমিনা মুনা কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় এলাকার মো. ইউনুসের মেয়ে। স্বামীর বাড়ি চান্দিনা উপজেলার হারং ভূঁইয়া বাড়িতে। গত ২৯ আগস্ট রাতে নগরীর রেইসকোর্সের ভাড়া বাসায় গ্যাসের আগুন প্রথমে দগ্ধ হন তিনি। এ সময় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন মুনার কোমরসহ শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে কুমিল্লা মডেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১১ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ১০ম। তার দুই বছর তিন মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সহকর্মী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশ করেছেন।