০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারল না চৌদ্দগ্রামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কুমিল্লা কারাগারে গাঁজাসহ দর্শনার্থীকে আটক, তিন মাসের কারাদণ্ড আমাকে সুযোগ দিন আমি হতাশ করব না- মনিরুল হক চৌধুরী অতীতের বেইমানরা আজও আছে; মানুষ বদলায়, কিন্তু বেইমানির স্বভাব বদলায় না -হাজী ইয়াছিন কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী সংগ্রামদলের মানববন্ধন; বিদ্যুৎ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়াদের গুলিতে ৩ বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু কুমিল্লায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ড্রামট্রাক চালক নিহত বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ; ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের শ্রদ্ধা

  • তারিখ : ০৭:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • 30

Exif_JPEG_420

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
প্রার্থনা আর ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেছে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির হলিক্রস পাদদেশে প্রার্থনা ও ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ৭ দেশের হাইকমিশনাররা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেন।

বেলা ১২ টায় সাত দেশের হাইকমিশনার ও তাদের পরিবারের অনেকেই কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমবেত হন।

প্রার্থনা পর্ব শেষে সমাধিক্ষেত্রের পশ্চিমে শ্বেত পাথরের হলিক্রসে প্রথমে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে ৩৩ ইনফ্যান্টি ডিভিশনের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাব্বি আহসান এনডিসি পিএসসি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, ভারত ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হাইকমিশনার ও কূটনীতিকরা সমাধিস্থলে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। নীরব নিস্তব্ধ হয়ে ওঠে পুরো সমাধিক্ষেত্র। প্রার্থনা অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার, প্রতিনিধি এবং তাদের সঙ্গে আসা পরিবারের লোকজন কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে শায়িত যোদ্ধাদের সমাধী ঘুরে দেখেন।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কুমিল্লার ময়নামতিতে ছিল মিত্র বাহিনীর চিকিৎসা কেন্দ্র। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে এখানে নিয়ে আসা হত। চিকিৎসাধীন অনেক সৈনিক মারা যাওয়া ছাড়াও বিভিন্নস্থানে নিহত সৈনিকদের সমাহিত করা হয় ময়নামতিতে। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা ময়নামতির ওয়ার সিমেট্রিতে ১৩টি দেশের ৭৩৭ জন যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়। তার মধ্যে সর্বাধিক ব্রিটেনের ৩৫০ জন, কানাডার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের চারজন, দক্ষিণ আফ্রিকার ‌একজন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, ভারতের ১৭২ জন, বার্মার একজন, দক্ষিণ রোডেশিয়ার তিনজন, বেলজিয়ামের একজন, পোল্যান্ডের একজন, জাপানের ২৪ জন এবং বেসামরিক একজনকে সমাহিত করা হয়।

ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈনিকদের মধ্যে মুসলিম ধর্মের ১৭২ জন, বৌদ্ধ ধর্মের ২৪ জন, হিন্দু ধর্মের দুইজন এবং বাকিরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।

প্রতি বছর নভেম্বর এর ২য় হলি ডে তে কমনওয়েলথ দেশসমুহের বাংলাদেশে নিয়োজিত হাইকমিশনার ও কূটনীতিকগণ পরিবারসহ ছুটে আসেন যুদ্ধ সমাধিতে। ফুলেল শ্রদ্ধা আর প্রার্থনায় স্মরন করেন নিহতদের।

error: Content is protected !!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ; ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের শ্রদ্ধা

তারিখ : ০৭:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
প্রার্থনা আর ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেছে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির হলিক্রস পাদদেশে প্রার্থনা ও ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ৭ দেশের হাইকমিশনাররা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেন।

বেলা ১২ টায় সাত দেশের হাইকমিশনার ও তাদের পরিবারের অনেকেই কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমবেত হন।

প্রার্থনা পর্ব শেষে সমাধিক্ষেত্রের পশ্চিমে শ্বেত পাথরের হলিক্রসে প্রথমে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে ৩৩ ইনফ্যান্টি ডিভিশনের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাব্বি আহসান এনডিসি পিএসসি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, ভারত ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হাইকমিশনার ও কূটনীতিকরা সমাধিস্থলে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। নীরব নিস্তব্ধ হয়ে ওঠে পুরো সমাধিক্ষেত্র। প্রার্থনা অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার, প্রতিনিধি এবং তাদের সঙ্গে আসা পরিবারের লোকজন কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে শায়িত যোদ্ধাদের সমাধী ঘুরে দেখেন।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কুমিল্লার ময়নামতিতে ছিল মিত্র বাহিনীর চিকিৎসা কেন্দ্র। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে এখানে নিয়ে আসা হত। চিকিৎসাধীন অনেক সৈনিক মারা যাওয়া ছাড়াও বিভিন্নস্থানে নিহত সৈনিকদের সমাহিত করা হয় ময়নামতিতে। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা ময়নামতির ওয়ার সিমেট্রিতে ১৩টি দেশের ৭৩৭ জন যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়। তার মধ্যে সর্বাধিক ব্রিটেনের ৩৫০ জন, কানাডার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের চারজন, দক্ষিণ আফ্রিকার ‌একজন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, ভারতের ১৭২ জন, বার্মার একজন, দক্ষিণ রোডেশিয়ার তিনজন, বেলজিয়ামের একজন, পোল্যান্ডের একজন, জাপানের ২৪ জন এবং বেসামরিক একজনকে সমাহিত করা হয়।

ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈনিকদের মধ্যে মুসলিম ধর্মের ১৭২ জন, বৌদ্ধ ধর্মের ২৪ জন, হিন্দু ধর্মের দুইজন এবং বাকিরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।

প্রতি বছর নভেম্বর এর ২য় হলি ডে তে কমনওয়েলথ দেশসমুহের বাংলাদেশে নিয়োজিত হাইকমিশনার ও কূটনীতিকগণ পরিবারসহ ছুটে আসেন যুদ্ধ সমাধিতে। ফুলেল শ্রদ্ধা আর প্রার্থনায় স্মরন করেন নিহতদের।