আলমগীর হোসেন।।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় জমে উঠেছে পশুর বাজার। শেষ সময় হওয়ায় পশুর হাটগুলোতে তুলনামূলকভাবে একটু কমে গেছে গরু ও খাসির দাম। কুমিল্লার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম বাড়াতে বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাছাড়া বাজারে ক্রেতাদের সমাগম বাড়াতে কোনো কোনো বাজারে পশু ক্রয়ের জন্য নামে মাত্র হাসিল নেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার পশুর হাটগুলো ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ক্রেতাদের বেশি পছন্দ দেশি ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর দিকে। মাঝারি দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে বড় গরুর তুলনায় দাম একটু বেশি।
সোমবার (২৬ জুন) কুমিল্লার নেউরা, চৌয়ারা, শাহপুর সুবর্ণপুর, বাজগড্ডা বাজার, বালুতুপা, চানপুর, আমড়াতলী বাজার, বন্দীশাহী বাজার এবং ময়নামতি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর প্রতি আকর্ষণ বেশি।
ক্রেতারা জানান, দুইটা মাঝারি সাইজের দেশি গরু কিনার ইচ্ছা আছে দেড় লাখ বা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে দুইটা মাঝারি সাইজের দেশি গরু পেলে কিনব।
এক গরু বিক্রেতা জানান, এ বাজারে দেশি মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চেয়ে বাজারে দেশি মাঝারি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষন বেশি এবং মাঝারি দেশি ও ছোট সাইজের গরু বিক্রি বেশি।
চৌয়ারা গরু বাজারের গরু বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, একটা বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে মাঝারি সাইজের ৫ গরু বিক্রি হয়ে যায়। চৌয়ারা বাজারে আমি মোট ২২টি গরু এনেছি। তার মধ্য দুটি বড় গরু ৩টি এবং মাঝারি গরু ১৪টি এবং ৫টি ছোট গরু রয়েছে। বড় গরুগুলোর প্রতি কাস্টমারের চাহিদা কম। মাঝারি সাইজের ৬ গরু বিক্রি করেছি। কুমিল্লার গরু বাজারে ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকার বড় গরু ও দেখা যায়।
হাট ইজারাদার সহিদ মিয়া জানান, শহরের ক্রেতারা এখনো গরু কিনেননি। কারণ শহরের বাসা বাড়িতে এখন কোরবানির জন্য গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। যার দরুণ শহরের অনেক ক্রেতা গরু রাখার জায়গা ও লালন পালন করার ঝামেলা নিতে চান না। তাই তারা কোরবানির একদিন বা দু দিন আগে গরু কিনেন। আশা করি, কোরবানির ঈদের একদিন বা দুদিন আগে মঙ্গলবার ও বুধবার বাজারে ক্রেতার আরো বেশি সমাগম হবে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোরশেদ খান জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লার পশুর হাট গুলোতে পুলিশের বিশেষ ফোর্স গাড়ি দিয়ে টহল দিচ্ছে। জাল টাকা চিহ্নিত করার জন্য পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page