০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বই মেলায় অষ্টম দিনে কবিতা, আবৃত্তি ও সংগীতে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন কুমিল্লায় মক্কা হসপিটালের শুভ উদ্বোধন খালেদা জিয়ার জন্য কালিরবাজারে দোয়া ও পথ সভা; ধানের শীষ নিয়েই নির্বাচন করব- হাজী ইয়াছিন ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জার্নালিষ্ট গ্লাডিয়েটরসের জয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবান্ন উৎসব ১৪৩২’ মুরাদনগরে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আজিজ গ্রেপ্তার ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে জিতলেন মিডিয়া ওয়ারিয়র্স কুমিল্লায় ট্রাক্টর উল্টে নদীতে গোসলরত একই পরিবারের ৩ নারী নিহত কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫–এ আবৃত্তি সংসদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহরাস্তিতে বিএনপি’র মিলাদ ও দোয়া

কুমিল্লায় সাংবাদিকের ওপর চিকিৎসকের হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

  • তারিখ : ১০:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • 48

আলমগীর হোসেন।।
কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় দুই মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ক্যামেরাম্যান বিপ্লব হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ হলি কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন বর্তমানে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্ত ডা. মোরশেদুল আলম হলি কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন জানান, ১৪ দিন আগে জ্বর-কাশি সমস্যা নিয়ে হলি কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশুর বাবা সোলাইমান। পরে ওই শিশুকে ডা. এম এ কাইয়ুম চিকিৎসা দেন। চিকিৎসার এক পর্যায়ে ওই শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে বলে ১০ দিন ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় বাচ্চা ভালো আছেন বলে জানান চিকিৎসক। পরে হঠাৎ ১৩ দিনের মাথায় শিশুকে ঢাকায় নিতে বলেন। এরপর শিমুল নামে এক চিকিৎসক শিশুর হার্টের সমস্যার কথা জানান এবং দ্রুত ঢাকায় নিতে বলেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার আগেই মারা যায় শিশুটি।

বিপ্লব হোসেন আরও বলেন, আমি এ ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর সংবাদ সংগ্রহ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের বক্তব্য নিতে যাই। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম আমাকে সংবাদ করতে নিষেধ করেন। আমি তার কথা না মানায় তিনি আমার ওপর হামলা করে ক্যামেরা নিয়ে যান। পরে তিনি ক্যামেরাটি ভেঙে ফেলেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

নিহত শিশুর বাবা সোলাইমান বলেন, ডা. কাইয়ুম আমার বাচ্চাকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলেছে। গত ১৪ দিন আগে আমার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে বলে এনআইসিইউতে ভর্তি করি। অথচ ১৩ দিনের মাথায় আরেক ডাক্তার শিমুল জানান, বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়নি, হার্টে সমস্যা। পরে দ্রুত ঢাকায় নেব এমন সময় বাচ্চা মারা যায়। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসার ফলে আমার সন্তান মারা গেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম জানান, আমি সাংবাদিককে নিচে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলেছি। তারা কেন দেখা করেনি তাই আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। রোগীর অভিযোগ থাকলে থানায় অভিযোগ করতে বলেন। এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাইয়ুমকে খুঁজে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, এমন হামলার প্রতিবাদে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ এর বিচার করবে বলে আমি আশাবাদী।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। হলি কেয়ার হাসপাতালের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় সাংবাদিকের ওপর চিকিৎসকের হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

তারিখ : ১০:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

আলমগীর হোসেন।।
কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় দুই মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ক্যামেরাম্যান বিপ্লব হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ হলি কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন বর্তমানে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্ত ডা. মোরশেদুল আলম হলি কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন জানান, ১৪ দিন আগে জ্বর-কাশি সমস্যা নিয়ে হলি কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশুর বাবা সোলাইমান। পরে ওই শিশুকে ডা. এম এ কাইয়ুম চিকিৎসা দেন। চিকিৎসার এক পর্যায়ে ওই শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে বলে ১০ দিন ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় বাচ্চা ভালো আছেন বলে জানান চিকিৎসক। পরে হঠাৎ ১৩ দিনের মাথায় শিশুকে ঢাকায় নিতে বলেন। এরপর শিমুল নামে এক চিকিৎসক শিশুর হার্টের সমস্যার কথা জানান এবং দ্রুত ঢাকায় নিতে বলেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার আগেই মারা যায় শিশুটি।

বিপ্লব হোসেন আরও বলেন, আমি এ ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর সংবাদ সংগ্রহ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের বক্তব্য নিতে যাই। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম আমাকে সংবাদ করতে নিষেধ করেন। আমি তার কথা না মানায় তিনি আমার ওপর হামলা করে ক্যামেরা নিয়ে যান। পরে তিনি ক্যামেরাটি ভেঙে ফেলেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

নিহত শিশুর বাবা সোলাইমান বলেন, ডা. কাইয়ুম আমার বাচ্চাকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলেছে। গত ১৪ দিন আগে আমার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে বলে এনআইসিইউতে ভর্তি করি। অথচ ১৩ দিনের মাথায় আরেক ডাক্তার শিমুল জানান, বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়নি, হার্টে সমস্যা। পরে দ্রুত ঢাকায় নেব এমন সময় বাচ্চা মারা যায়। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসার ফলে আমার সন্তান মারা গেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম জানান, আমি সাংবাদিককে নিচে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলেছি। তারা কেন দেখা করেনি তাই আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। রোগীর অভিযোগ থাকলে থানায় অভিযোগ করতে বলেন। এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাইয়ুমকে খুঁজে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, এমন হামলার প্রতিবাদে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ এর বিচার করবে বলে আমি আশাবাদী।

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। হলি কেয়ার হাসপাতালের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।