০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারল না চৌদ্দগ্রামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কুমিল্লা কারাগারে গাঁজাসহ দর্শনার্থীকে আটক, তিন মাসের কারাদণ্ড আমাকে সুযোগ দিন আমি হতাশ করব না- মনিরুল হক চৌধুরী অতীতের বেইমানরা আজও আছে; মানুষ বদলায়, কিন্তু বেইমানির স্বভাব বদলায় না -হাজী ইয়াছিন কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী সংগ্রামদলের মানববন্ধন; বিদ্যুৎ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়াদের গুলিতে ৩ বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু কুমিল্লায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ড্রামট্রাক চালক নিহত বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুমিল্লায় ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর মামলা

  • তারিখ : ০৯:৫১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 45

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩- এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৬) জমির বিরোধ নিয়ে হওয়া মামলার খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। এর সূত্র ধরে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতেন। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। এসআই মোশাররফও প্রায়ই ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। তারা ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিতেন। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দু’জনেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ওই নারীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যান ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। সেদিন তিনি মামলার ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়ায় এসআই মোশাররফ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার ও ধর্ষণের হুমকি দেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারা হয়। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে এসআই মোশাররফ তার গলা চেপে ধরে। পরে তাকে আবারও অনৈতিক প্রস্তাব দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেন, তার ফোন রিসেট করা হয়। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রমাণ তাতে না থাকে। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। আটদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, ওই নারী ভীষণ উগ্র। আমরা আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সে ওয়ারেন্ট চায়। ওয়ারেন্ট দেখালেও তিনি আমাদের আসামিকে আনতে দেননি। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধায় দেওয়ায় বাধ্য হয়। তার করা মামলা বানোয়াট।

এসআই মোশাররফ বলেন, আমাদের কাছে ভিডিও রেকর্ড আছে তিনি কি করেছেন। আমরা তাকে নারী কনসটেবল দিয়ে ধরিয়ে এনেছি। তাকে কোনও অনৈতিক প্রস্তাবও দেইনি। সে খুবই উগ্র। মামলায় সে বানোয়াট অভিযোগ করেছে।

কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি অভিযোগ শুনেছি। এখনও কোর্ট থেকে কাগজপত্র পাইনি।

সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর মামলা

তারিখ : ০৯:৫১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩- এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৬) জমির বিরোধ নিয়ে হওয়া মামলার খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। এর সূত্র ধরে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতেন। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। এসআই মোশাররফও প্রায়ই ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। তারা ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিতেন। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দু’জনেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ওই নারীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যান ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। সেদিন তিনি মামলার ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়ায় এসআই মোশাররফ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার ও ধর্ষণের হুমকি দেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারা হয়। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে এসআই মোশাররফ তার গলা চেপে ধরে। পরে তাকে আবারও অনৈতিক প্রস্তাব দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেন, তার ফোন রিসেট করা হয়। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রমাণ তাতে না থাকে। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। আটদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, ওই নারী ভীষণ উগ্র। আমরা আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সে ওয়ারেন্ট চায়। ওয়ারেন্ট দেখালেও তিনি আমাদের আসামিকে আনতে দেননি। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধায় দেওয়ায় বাধ্য হয়। তার করা মামলা বানোয়াট।

এসআই মোশাররফ বলেন, আমাদের কাছে ভিডিও রেকর্ড আছে তিনি কি করেছেন। আমরা তাকে নারী কনসটেবল দিয়ে ধরিয়ে এনেছি। তাকে কোনও অনৈতিক প্রস্তাবও দেইনি। সে খুবই উগ্র। মামলায় সে বানোয়াট অভিযোগ করেছে।

কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি অভিযোগ শুনেছি। এখনও কোর্ট থেকে কাগজপত্র পাইনি।

সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন