কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় দলীয় মিটিংয়ে উত্তেজিত হয়ে প্রাণ হারালেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ বি এম জাহাঙ্গীর আলম। শনিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর সিডি প্যাথ রােডে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাজী আমিনউর-রশিদ ইয়াছিনের কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন সময়ে তিনি দলীয় ইস্যুতে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে সিডি প্যাথ হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যত ডাক্তার তাকে মৃত ঘােষণা করেন। এ বি এম জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি সদর উপজেলা আমড়াতলী ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায়। তিনি শহরতলী শাসনগাছা উত্তর আবাসিক এলাকায় প্রফেসর টাওয়ার নামক বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন।
আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম জানান, সারাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, সল পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি এবং সকল নিত্যপ্রয়ােজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও অসহনীয় লােডশেডিং এবং ভােলায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুর আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে পাঁচথুবী ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাহাঙ্গীর আলমসহ দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
রাতে আমড়াতলী ইউনিয়নের বিক্ষোভ কর্মসূচী নিয়ে নগরীর সিডি প্যাথ রােডের কার্যালয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কর্মসূচী নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম কিছু প্রস্তাবনা দিলে আমড়াতলীর অপর এক নেতা বিকল্প প্রস্তাব দেন। এতে জাহাঙ্গীর আলম উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা সাথে সাথে সিডি প্যাথ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘােষণা
জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই টিপু সুলতান বলেন, সভা চলাকালিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমার ভাই সভাস্থল থেকে বাহিরে আসার সময় হোঁচট খেয়ে পরে অসুস্থ্য হয়ে যায়। হাসতাপালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারে স্ত্রী, ২ পুত্র ও ১ কন্যা রয়েছে। বড় ছেলে শহরের ব্যবসা করেন এবং ছােট ছেলে আমেরিকা প্রবাসী। ছােট ছেলে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরলে লাশ দাফন করা হবে বলে জানান, জাহাঙ্গীর আলমের বড় ছেলে জনি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page