০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি দুলাল হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ চৌদ্দগ্রাম বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কামরুল হুদার মতবিনিময় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: ডা. তাহের ব্রাহ্মণপাড়ায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধণা ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় বডিফিটিং গাঁজা পাচারকালে গাঁজাসহ বাবা-ছেলে আটক মুরাদনগরে বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার কুমিল্লার চান্দিনায় প্রাইভেটকার চাপায় মা-শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লার কার্যকরী কমিটি পুনর্গঠন; সভাপতি- সুমনা, সাধারণ সম্পাদক- আকাইদ বানাশুয়া বিরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের চলছে প্রস্তুতি

কুমিল্লায় বকেয়া পরিশোধ না করায় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩

  • তারিখ : ১১:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 4

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় চিকিৎসকের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে বহিরাগতদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শহরতলির মণিপাল এএফসি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়েন রোগীরা। হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার বিশেষায়িত মণিপাল এএফসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে কাজ করতেন চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর বেতন-ভাতা বকেয়া ছিল। কর্তৃপক্ষ তাঁর বেতন-ভাতার পুরোটা পরিশোধ না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজেই অসুস্থ হয়ে অন্য আরেকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অনুসারী স্থানীয় বাসিন্দা ও নগরের মুনসেফ কোয়ার্টার এলাকার শতাধিক লোক মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হাসপাতালে আসেন। তাঁরা হাসপাতালের সার্ভার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করেন। বাধা দিতে গিয়ে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ (২৬), বায়োমেডিকেল প্রকৌশলী আবদুর রউফ (৪০) ও আইটি বিভাগের নির্বাহী মো. ফয়সালকে (২৮) মারধর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, চিকিৎসকের বকেয়া ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ৮ লাখ টাকা পাবেন তিনি। তাঁরা টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘টাকার জন্য শতাধিক বহিরাগত এসে হাসপাতালে হামলা করেছে। রোগীর ও হাসপাতালের টাকা লুট করেছে। সার্ভার কক্ষে ভাঙচুর করেছে। মনিটর খুলে নিয়ে গেছে। ভিডিও ফুটেজে সব আছে। আমরা এর বিচার চাই।’ তিনি বলেন, চিকিৎসক সাঈদের লোকজন এ হামলা করেন। এ ছাড়া একটি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাসপাতালটির বিরোধিতা করে আসছে। তারাও নেপথ্যে হামলায় ইন্ধন দিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আমি অসুস্থ, প্যারালাইজড। আমার এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে গেছে আমার বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য। এরপর কী হয়েছে, বলতে পারব না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ৬০ লাখ টাকা পাব।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সার্ভারের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। মনিটর খুলে নেওয়া হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে বহিরাগতদের বের করে দিয়েছি। এ সময় হাসপাতালের দুজন কর্মী আহত হন। দুই পক্ষকে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।’

সূত্র- প্রথম আলো।

কুমিল্লায় বকেয়া পরিশোধ না করায় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩

তারিখ : ১১:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় চিকিৎসকের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে বহিরাগতদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শহরতলির মণিপাল এএফসি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়েন রোগীরা। হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার বিশেষায়িত মণিপাল এএফসি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে কাজ করতেন চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর বেতন-ভাতা বকেয়া ছিল। কর্তৃপক্ষ তাঁর বেতন-ভাতার পুরোটা পরিশোধ না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজেই অসুস্থ হয়ে অন্য আরেকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অনুসারী স্থানীয় বাসিন্দা ও নগরের মুনসেফ কোয়ার্টার এলাকার শতাধিক লোক মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হাসপাতালে আসেন। তাঁরা হাসপাতালের সার্ভার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করেন। বাধা দিতে গিয়ে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ (২৬), বায়োমেডিকেল প্রকৌশলী আবদুর রউফ (৪০) ও আইটি বিভাগের নির্বাহী মো. ফয়সালকে (২৮) মারধর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, চিকিৎসকের বকেয়া ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ৮ লাখ টাকা পাবেন তিনি। তাঁরা টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘টাকার জন্য শতাধিক বহিরাগত এসে হাসপাতালে হামলা করেছে। রোগীর ও হাসপাতালের টাকা লুট করেছে। সার্ভার কক্ষে ভাঙচুর করেছে। মনিটর খুলে নিয়ে গেছে। ভিডিও ফুটেজে সব আছে। আমরা এর বিচার চাই।’ তিনি বলেন, চিকিৎসক সাঈদের লোকজন এ হামলা করেন। এ ছাড়া একটি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হাসপাতালটির বিরোধিতা করে আসছে। তারাও নেপথ্যে হামলায় ইন্ধন দিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আমি অসুস্থ, প্যারালাইজড। আমার এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে গেছে আমার বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য। এরপর কী হয়েছে, বলতে পারব না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ৬০ লাখ টাকা পাব।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সার্ভারের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। মনিটর খুলে নেওয়া হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে বহিরাগতদের বের করে দিয়েছি। এ সময় হাসপাতালের দুজন কর্মী আহত হন। দুই পক্ষকে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি।’

সূত্র- প্রথম আলো।