আরাফাত হোসেনঃ কুমিল্লার বরুড়ায় যেকোনো দূর্যোগ মহামারির সময় সেচ্ছাসেবক হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আইকনিক ব্যাক্তি সাংবাদিক মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূইয়া।
জানা যায় করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘ ১ বছর যখন করোনায় কেউ মৃত্যু বরন করলে পাশে কেউ থাকত না, কিন্তু তখনই তাকওয়া ফাউন্ডেশনের ব্যানার নিয়ে ৭০ এর বেশি করোনা পজেটিভ লাশ দাফন সম্পন্ন করেন সেচ্ছাসেবক মোঃ আমিনুল ইসলাম। তাছাড়াও করোনা মহামারীর সময় অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।এছাড়া করোনায় রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহার সময় করোনা মহামারীর জন্য যারা কোরবানী করতে পারে না তাদের জন্য কোরবানীর গোশত বিতরণ করেছেন যা এখনও চালু রয়েছে। তিনি শুধু করোনা মহামারির সময়ই নন,যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসেন।
তিনি প্রতিটি দূর্যোগে বরুড়ায় সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত থাকেন।তিনি শুধু সামাজিক কাজই নয় নিজের শরীরের তাজা রক্ত দান করেছেন ৩৮ বার প্রতি ৩-৪ মাস পর পর রক্ত দেন এই সেচ্ছাসেবক।তিনি বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন,যেম রক্তঋন সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং, ইয়ুথ সোসাইটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বরুড়া উপজেলার উপদলনেতা,বরুড়া শান্তি সংগঠনের উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি সামজিক নিজেকে বিলিয়ে দেন সেচ্ছাসেবক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানের ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বরুড়া উপজেলার টিম লিডার হিসাবে এগিয়ে এসেছেন বরুড়া উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের পরিচিত মুখ মানবতার ফেরিওয়ালা অসহায় দুস্থদের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রিয় মানুষ মাওঃ আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া।তার নেতৃত্বে ১৫ জন সদস্য নিয়ে বরুড়ায় দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিলেন।
এই বিষয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূইয়া জানান আমি ২০১০ সাল থেকে রক্ত দান শুরু করে এই পর্যন্ত ৩৭ বার রক্ত দান করেছি এবং ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন সামজিক সংগঠনের ব্যানারে কাজ শুরু করি,ধীরে ধীরে মানুষের প্রতি আমার মায়া চলে আসে,তাই যেকোনো দূর্যোগে মানুষের পাশে থাকতে পারলে আমাকে ধন্য মনে হয়।আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই সেই জন্য আমি সবার কাছে দোয়া কামনা করি।
Md. Arafat