মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে মোঃ মনজুরুল ইসলাম (২৬) নামে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় মরদেহটি উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ মোস্তাকিন মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার সন্তোষপুর গ্রামে আলাউদ্দিনের ছেলে মনজুরুল ইসলাম বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের দূর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকার আক্তার হোসেনের গরুর ফার্মে থাকতো। মনজুরুল ইসলাম দিনের বেলায় দৈনিক মুজুরী ভিত্তিতে মানুষের বাড়ীতে কৃষি কাজও করত।
গত ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাতের পর পরিবারের সদস্যরা মনজুরুল ইসলামের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে খুজাখুজি শেষে ১৬ জানুয়ারী সোমবার বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন তার বাবা আলা উদ্দিন।
পরবর্তীতে দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় দূর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকার আক্তার হোসেনের গরুর ফার্মের আরেক শ্রমিক মোঃ নাহিদ হোসেন (১৯) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নাহিদ প্রথমে অস্বীকার করলেও পুলিশের ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মনজুরুল ইসলামের টাকা চুরি হওয়ার বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে রাতে মনজুরুল ইসলাম ঘুমিয়ে পড়লে নাহিদ তাকে কুপিয়ে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে গরুর ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়।
ঘাতক নাহিদের বাড়ী রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার উজিয়াল ডাক্তার পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ মোহাবীর রহমান।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান জানান, ঘাতক নাহিদের দেখানো স্থান থেকে মনজুরুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসতাপালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page