মালয়েশিয়া ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে না নিতে এড. একলাছ উদ্দিন ভূইয়ার নোটিশ

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
মালয়েশিয়া থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরত প্রবাসীদের কোভিডের কারণে সরকার নির্ধারিত আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে না রাখা এবং হোটেলে বিল পরিশোধে বাধ্য না করার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মো. তারেক রহমানের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এ নোটিশ পাঠান।

আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে উচ্চ আদালতে এর আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে কেবিনেট সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি)।

নোটিশে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় অবৈধ ও কর্মহীন থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসার পরে কোভিড -১৯ এর কারণে সরকার নির্ধারিত কিছু আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং হোটেলে বিল পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি সেখানে কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয় মুদ্রায় ৫০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশের ১০ হাজার টাকা) জরিমানা, বিমান ভাড়া ১৩২৭ রিঙ্গিত (২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত) এবং কোভিড টেস্ট ৩০০ রিঙ্গিত (৬ হাজার ৫৭ টাকা প্রায়) মোট ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থের বিনিময়ে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।

নোটিশে বলা হয়, যেহেতু মালয়েশিয়া ফেরত প্রতিটি শ্রমিকের করোনা নেগেটিভ যা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৈধ থাকছে, সেখানে দেশে ফেরার পরেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার উদ্দেশ্য এসব নিঃস্ব প্রবাসীকে অহেতুক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা।

তাই কোয়ারেন্টাইনের নামে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর নির্ধারিত হোটেলে বেশি টাকা দিয়ে থাকা তাদের পক্ষে অসম্ভব বলে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু বিমানে ওঠার আগেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে, সেহেতু বাংলাদেশে আসার পরে আবার টেস্ট করে পজিটিভ এলে তাকে নির্দিষ্ট হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হোক। এছাড়া তাকে হোম কোয়োরেন্টাইনেও রাখা যেতে পারে, এর আগে যার নজির রয়েছে।

নোটিশে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, যেসব হোটেল প্রবাসীদের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল। একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এটা তাদের (প্রবাসীদের) প্রতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এসব হোটেলে গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার, ৭ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয় জন প্রতি। যারা বিদেশ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত এলো, আবার তারা ক্ষতির সম্মুখীন। করোনাকালে তারা কীভাবে এসব টাকা পরিশোধ করবে? তারা তো এমনিতেই নিঃস্ব।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page