কুমিল্লায় এনজিওর ঋণের চাপে বিষপানে অটোরিকশাচালকের আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মো. জামির হোসেন (৩৮) নামের এক অটোরিকশাচালক কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

মো. জামির হোসেন উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের ছিদ্দিক প্রফেসরের বাড়ির মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, অটোরিকশাচালক জামির হোসেন বিষপানে রাত ৯টায় মারা যান। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ওই রাতেই সাড়ে ১১টায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জামিরের মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।

থানার পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মো. জামির হোসেন একাধিক এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা ধার নেন। স্থানীয় লোকজন ও এনজিও কর্মীরা ঋণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে জামির হোসেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় সবার অজান্তে নিজ বসতঘরে কীটনাশক পান করেন।

থানার পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কুমেকে তাঁকে নেওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলা সদর বাজারে পৌঁছার পর জামির হোসেন মারা যান। সেখান থেকে জামিরের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ ওই রাতেই নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের বড় ভাই মো. জাকির হোসেন জানান, দুটি এনজিও থেকে জামির হোসেনের ঋণ নেওয়া ছিল। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন লোকজন তাঁর কাছে ধারে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা পেত। তার ঋণের পরিমাণ আনুমানিক ৪ লাখ টাকার মতো হবে। এসব ঋণের চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত জামির হোসেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page