০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগে গণতান্ত্রিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে -ডা. হারুন আল রশিদ মালদ্বীপে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ফোরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসন পূনর্বিন্যাসে নতুন মেরুকরণ বুড়িচংয়ে সেই যুবদল নেতাকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ; জেলা কমিটিকে তলব মানবিক কুমিল্লার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিল পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যেক মানুষের সাফল্যের পথ আলাদা -হাসনাত আব্দুল্লাহ বুড়িচংয়ে জামায়াতের কেন্দ্র কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেলেন এক হাজারের বেশি মানুষ কুমিল্লায় সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্রকে পুনরায় হত্যার হুমকি, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি কুমিল্লায় উল্টো পথে আসা পিকআপে ধাক্কা, মোটরসাইকেল চালক নিহত

কুমিল্লায় গত ৭ বছরে ২২৯ নারী কর্মীর কর্মসংস্থান হলো হংকং

  • তারিখ : ১০:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
  • 9

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার গত ৭ বছরে বিভিন্ন উপজেলার ২২৯ নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ গৃহকর্মী হিসেবে চাকুরি নিয়ে হংকং-এ গেছেন। বর্তমানে কুমিল্লা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হাউজকিপিং এবং ক্যান্তনিজ ল্যাংগুয়েজ কোর্সে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আরো ৪০ জন নারী। তাদের নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসন পরবর্তীকালীন করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান।

জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই-ই মেলে’- এ স্লোগানে জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় ও হাট-বাজারে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচারণা চলছে। এছাড়া গত আট বছর ধরে কুমিল্লা টিটিসি হাউজকিপিং এবং ক্যান্তনিজ ল্যাংগুয়েজ কোর্সের মাধ্যমে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ নারী গৃহকর্মী হংকং-এ প্রেরণ কার্যক্রম চলছে।

বর্তমানে কুমিল্লা টিটিসিতে হংকংগামী ৪০ জন নারী কর্মী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ক্যান্তনিজ ভাষা, রান্না ও কাজের ধরণ সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া। সূত্র আরো জানায়, হংকং-এ গৃহকর্মী পদে নারীদের মাসিক আয় ন্যুণতম ৫০ হাজার টাকা এবং সেখানে তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা চাকুরিদাতা বহন করেন। ২০১৪ সাল থেকে গত ৭ বছরে ২২৯ জন মহিলা গৃহকর্মী হংকং-এ সুনামের সাথে কাজ করছে।

জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ জানান, যেসব নারী বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করেন তাদের অনেকেই সঠিক তথ্য ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এজন্য অভিবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের অধিকার সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ রয়েছে।

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সবার প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রয়োজন। বৈদেশিক কর্মসংস্থানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের মাঝে নিরাপদ অভিবাসনের তথ্য পৌঁছে দিতে আমরা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি। বৈধ পথে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ করতে প্রশিক্ষণার্থীসহ প্রবাসীদের প্রতিও আহবান জানান তিনি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় গত ৭ বছরে ২২৯ নারী কর্মীর কর্মসংস্থান হলো হংকং

তারিখ : ১০:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার গত ৭ বছরে বিভিন্ন উপজেলার ২২৯ নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ গৃহকর্মী হিসেবে চাকুরি নিয়ে হংকং-এ গেছেন। বর্তমানে কুমিল্লা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হাউজকিপিং এবং ক্যান্তনিজ ল্যাংগুয়েজ কোর্সে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আরো ৪০ জন নারী। তাদের নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসন পরবর্তীকালীন করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান।

জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই-ই মেলে’- এ স্লোগানে জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় ও হাট-বাজারে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচারণা চলছে। এছাড়া গত আট বছর ধরে কুমিল্লা টিটিসি হাউজকিপিং এবং ক্যান্তনিজ ল্যাংগুয়েজ কোর্সের মাধ্যমে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ নারী গৃহকর্মী হংকং-এ প্রেরণ কার্যক্রম চলছে।

বর্তমানে কুমিল্লা টিটিসিতে হংকংগামী ৪০ জন নারী কর্মী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ক্যান্তনিজ ভাষা, রান্না ও কাজের ধরণ সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া। সূত্র আরো জানায়, হংকং-এ গৃহকর্মী পদে নারীদের মাসিক আয় ন্যুণতম ৫০ হাজার টাকা এবং সেখানে তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা চাকুরিদাতা বহন করেন। ২০১৪ সাল থেকে গত ৭ বছরে ২২৯ জন মহিলা গৃহকর্মী হংকং-এ সুনামের সাথে কাজ করছে।

জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ জানান, যেসব নারী বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করেন তাদের অনেকেই সঠিক তথ্য ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এজন্য অভিবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের অধিকার সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ রয়েছে।

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সবার প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রয়োজন। বৈদেশিক কর্মসংস্থানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের মাঝে নিরাপদ অভিবাসনের তথ্য পৌঁছে দিতে আমরা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি। বৈধ পথে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ করতে প্রশিক্ষণার্থীসহ প্রবাসীদের প্রতিও আহবান জানান তিনি।