নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর প্রতি সম্মান-সমর্থন জানিয়ে আপিল করবে না বলে জানিয়েছেন বাছাইয়ে মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া অপর প্রার্থী দুলাল মিয়া ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের দিন প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষরে মিল না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল মিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়। মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দুলাল মিয়া মনোনয়ন পত্র ফিরে পেতে আপিল করার ঘোষনা দেন।
তবে মাত্র একদিনে মাথায় এ ঘোষনা থেকে ফিরে আসেন তিনি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে দুলাল মিয়া কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে এসে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মফিজুর রহমান বাবলুর সাথে সাক্ষাত করে সমর্থন ও অভিন্দন জানান।
পরে সাংবাদিকদের সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুলাল মিয়া বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক। ৭১ এর রনাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ও সমর্থন জানিয়ে আমি নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে গেলাম। আমার মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আর আপিল করব না। নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি নির্বাচন কমিশন কে লিখিতভাবে অবহিত করব। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর সাফল্য কামনা করছি। ”
জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল মিয়ার মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষর ভূয়া বলে অভিযোগ থাকায় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এনআইডিতে দেয়া স্বাক্ষরের সাথে মিল না থাকায়, পুনরায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তার সামনে দেয়া ওই প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষরে মিল না হওয়ায় অর্থাৎ তিন জায়গায় ওই প্রস্তাবকারীর তিন রকম স্বাক্ষর হওয়াতে দুলাল মিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু। দুলাল মিয়া মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল না করায় মফিজুর রহমান বাবলুর বিনাভোটে জয়ের পথে আর কোন বাঁধাই রইলো না। এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার বাকি।
কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুরুল আলম বলেন, কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মফিজুর রহমান বাবলু ছাড়া আর কোন বৈধ প্রার্থী নেই ।
একজন প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের দরকার হবে না। তবে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে কোনো কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তা আপিলের সুযোগ আছে। আপিলেও একক প্রার্থী থাকা কোনো ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা না হলে পরবর্তীতে নির্বাচন হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন বাছাই ছিল, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের তারিখ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page