
মোঃ জহিরুল হব বাবু।।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে পাহাড় কাটা বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ওই এলাকার পরিবেশ রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
পরিবেশ ও বন, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, পরিচালক (এনফোরসমেন্ট), পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম), ডিসি ও এসপি-চট্টগ্রাম, ইউএনও ও ওসি (বাঁশখালী), বাঁশখালী ১০ নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রক্ষায় জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছে। বাঁশখালীর চাম্বলে শত শত একর পাহাড়ি ভূমি কাটার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে ১০ নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরীকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবুও সেখানে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা চলছে।
এই আইনজীবী আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধনী ২০০২ ও ২০১০) এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮-এ অনুযায়ী আদালতের নির্দেশনার আর্জি পেশ করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে আজ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলীর পক্ষে রিটটি করেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রিটে উল্লেখ করা হয়, বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে শত শত একর পাহাড়ি ভূমি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করছে প্রভাবশালী মহল। রিটে চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক আজাদী ও পূর্বদেশে গত ২০ আগস্ট প্রকাশিত স্থিরচিত্র প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
রিটে পরিবেশ ও বন, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, পরিচালক (এনফোরসমেন্ট), পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম), ডিসি ও এসপি-চট্টগ্রাম, ইউএনও ও ওসি (বাঁশখালী), বাঁশখালীর ১০ নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক চৌধুরীকে রিটে রেসপনডেন্ট করা হয়।