দীর্ঘদিন ধরে অকেজো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়াম

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যথাযথ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জিমনেসিয়ামটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।

রবিবার (১সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল এই জিমনেসিয়াম। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতিই নষ্ট এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। স্থানীয়রা ব্যায়াম করতে এসে যন্ত্রপাতি নষ্ট করে ফেলে এবং চুরি করে নিয়ে যায়। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতি তালাবদ্ধ এবং কোনো গার্ড না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৯-২০ সেশন এর শিক্ষার্থী রাজিব সরকার জানান,” সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ব্যায়াম করা উচিৎ। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম সেন্টার বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে যদিও কয়েক ঘন্টার জন্য খোলা থাকে তাও এতে যা সরঞ্জাম আছে বেশির ভাগ নষ্ট অথবা অকেজো। যাতে ব্যায়াম করলে দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জিম সেন্টারে যে লোকের দায়িত্বে উনি ওনার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করেন না। উনার ডিউটি টাইম ৪-৮ টা কিন্তু উনি আসে ৫ টার কিছু সময় পর এবং চলে যায় ৮ টার আগেই। জিম সেন্টারের সকল সমস্যা সমাধান করে ব্যাবহারের জন্য উপযোগী করার দাবি জানাচ্ছি। আশা করি কুবি প্রসাশন ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগ বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।”

ব্যায়াম করতে আসা মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শিহাব আহমেদ জানান, “এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও তারা কোনো ব‍্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা দেখে বুঝা যায় না যে এটা কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম সেন্টার। অধিকাংশ যন্ত্রপাতি নষ্ট, ধূলাবালির কারনে জিম করার কোনো পরিবেশ নাই,পরিষ্কারের কোনো ব‍্যবস্থা নাই এবং জিম করার কোনো ফ্রি স্পেস নাই। বেশিরভাগ ইকুইপমেন্ট অন‍্যরুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিছু কিছু যন্ত্রপাতি বিজয় ২৪ হলে আছে। জিমনেসিয়ামে কোনো গার্ড না থাকায় স্থানীয়রা এসে যন্ত্রপাতি নষ্ট করে দিয়ে যায় এবং চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া কোনো ট্রেইনার নাই যে ট্রেইন করাবে এবং যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষন করবে। এ অবস্থায় আমরা চাই, জিমনেশিয়াম পূর্ণগঠন, ঠিকমতো রক্ষনাবেক্ষন এবং পরিচর্যা করার জন‍্য একজন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করা এবং সমসাময়িক সমস‍্যাগুলো সমাধান করা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম জানান,” হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে জিমনেসিয়াম বন্ধ রেখেছি। লোকবলের সংকট আছে, এটা আমরা ম্যানেজ করে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আজ থেকে জিমনেসিয়াম এর কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া এখানকার নিয়োগকৃত একজন লোক ঢাকার গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে জিমনেসিয়ামের কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। এখানে ফ্রী স্পেস থাকায় বহিরাগতরা ব্যায়াম করে। বহিরাগতদের তো আমাদের ঐরকমভাবে চিহ্নিত করার স্কোপ নেই।”

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নেয় এবং দীর্ঘদিন এটি তাদের পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জিমনেসিয়ামটি স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসা হয়।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page