১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেলেন ৪৬৫ কৃষক কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী ফারুকের বাবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ২৫ মামলার আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে উদ্যোক্তা মেলা বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাহসিকতার স্বীকৃতি: পিপিএম পদকে ভূষিত হলেন কুমিল্লার এসআই খাজু মিয়া ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে ওসির মতবিনিময় বুড়িচংয়ে ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড ও বজ্রপাত প্রতিরোধে মহড়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

প্রাথমিক শিক্ষক ও রেল মন্ত্রণালয়ে কোটা বাতিল চেয়ে রিট

  • তারিখ : ১২:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • 162

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) চাকরি প্রত্যাশী তারেক রহমান পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিউম্যান রাইটর্স এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া এই রিট করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায় যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষককে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি)-এর আওতায় নেয়া হবে।

কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীর জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ কর হয়। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২২ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে।

অথচ অন্য কোনো অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে কোটার উল্লেখ নেই। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশী নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তাই এসব প্রজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।

error: Content is protected !!

প্রাথমিক শিক্ষক ও রেল মন্ত্রণালয়ে কোটা বাতিল চেয়ে রিট

তারিখ : ১২:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) চাকরি প্রত্যাশী তারেক রহমান পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিউম্যান রাইটর্স এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া এই রিট করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায় যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষককে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি)-এর আওতায় নেয়া হবে।

কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীর জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ কর হয়। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২২ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে।

অথচ অন্য কোনো অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে কোটার উল্লেখ নেই। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশী নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তাই এসব প্রজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।