১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা

ফেসবুকে দুধনেহের’র ছবি ভাইরাল,খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির ইউএনও।

  • তারিখ : ০৪:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • 39

মনির খাঁন মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।

সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপেেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি। জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারীতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষি এই বৃদ্ধা।

দুধনেহেরের আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোন সম্ভল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের। দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানায়, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ন ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পরে। নেই কোন নিজস্ব টিওবওয়েল ও বাথরুম। করোনা ভাইরাসের কারনে কোন কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এই সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কিভাবে। মা তিনমাস পর পর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের চিকিৎসাবাবদ ঔষধ কেনা যায় না। এই অবস্থায় সমাজের বৃত্তবান মানুষের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কি করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।

error: Content is protected !!

ফেসবুকে দুধনেহের’র ছবি ভাইরাল,খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির ইউএনও।

তারিখ : ০৪:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

মনির খাঁন মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের দুধনেহের নামে এক বৃদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সোমবার ভাইরাল হয়।

সেই স্ট্যাটাসটি মুরাদনগর উপেেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের দৃষ্টিগোচর হলে দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন তিনি। জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তার মাঝে এই করোনার মহামারীতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষি এই বৃদ্ধা।

দুধনেহেরের আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া ছিল না কোন সম্ভল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের। দুধনেহেরের ছেলে আব্দুল হালিম জানায়, বাবার মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা আমাকে ও দুই বোনকে বড় করেছেন। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ন ঘরের মধ্যে বসবাস করি আমরা। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পরে। নেই কোন নিজস্ব টিওবওয়েল ও বাথরুম। করোনা ভাইরাসের কারনে কোন কাজে যেতে পারি না, তার মাঝে মা অসুস্থ। এই সময়ে খেয়ে বাঁচতে পারি না মায়ের চিকিৎসা করাব কিভাবে। মা তিনমাস পর পর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান তা দিয়ে উনার এক মাসের চিকিৎসাবাবদ ঔষধ কেনা যায় না। এই অবস্থায় সমাজের বৃত্তবান মানুষের সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়ে। তারপর তার বাড়িতে নিজে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেই। আগামীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তার ও তার পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কি করা যায় সেটা দেখব। আর তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।