০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সময়ের দাবি: মোস্তফা

  • তারিখ : ০৩:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • 264

মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষা সৈনিকদের ‘ভাষা বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একইসঙ্গে সারাবছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের (রাষ্ট্রভাষা মতিন) ৯৪তম জন্ম ও রওশন আরা বাচ্চুর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন ও রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরেও মায়ের ভাষার অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারা রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষা শহীদদের অবদানকে তুলে ধরতেই তাদের স্বীকৃতি প্রয়োজন।’

ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পরিপূর্ণ ইতিহাস এখন পর্যন্ত লেখা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে আছে। অধিকতর পরিপূর্ণ ইতিহাস রচনায় একটি জাতীয় কমিশন করা প্রয়োজন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে উপেক্ষা করলে জাতির মধ্যে অস্তিত্বহীনতা তৈরি হবে। সেজন্যই এর পরিপূর্ণ ইতিহাস দরকার। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই ভাষা সৈনিকদের তালিকা তৈরি করে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া প্রমুখ।

error: Content is protected !!

ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সময়ের দাবি: মোস্তফা

তারিখ : ০৩:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষা সৈনিকদের ‘ভাষা বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একইসঙ্গে সারাবছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের (রাষ্ট্রভাষা মতিন) ৯৪তম জন্ম ও রওশন আরা বাচ্চুর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন ও রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরেও মায়ের ভাষার অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারা রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষা শহীদদের অবদানকে তুলে ধরতেই তাদের স্বীকৃতি প্রয়োজন।’

ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পরিপূর্ণ ইতিহাস এখন পর্যন্ত লেখা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে আছে। অধিকতর পরিপূর্ণ ইতিহাস রচনায় একটি জাতীয় কমিশন করা প্রয়োজন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে উপেক্ষা করলে জাতির মধ্যে অস্তিত্বহীনতা তৈরি হবে। সেজন্যই এর পরিপূর্ণ ইতিহাস দরকার। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই ভাষা সৈনিকদের তালিকা তৈরি করে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া প্রমুখ।