ইঞ্জিঃ আক্তারুজ্জামান রিপনের মহতী উদ্যোগ; সদর দক্ষিণের ৪৬৯ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন বৃত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার আব্দুর রহমান মাষ্টার ফাউন্ডেশন একটি শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং সামজিক উন্নয়নের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানসহ অসহায়দের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছে আব্দুর রহমান মাষ্টার ফাউন্ডেশন। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ২২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৪ টি মাদ্রাসার সহ মোট ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম থেকে দশম শ্রেণির তিনজন করে ৪৩২ জন এবং ২০২৪ সাথে এসএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৩৭ জন সহ মোট ৪৬৯ জনকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

গতকাল রোববার সন্ধায় নগরীর ঝাউতলা হোটেল এলিট প্যালেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এনট্রাস্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এনট্রাস্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন বলেন, আগামী ১৯ মার্চ সদর দক্ষিন উপজেলার সুয়াগঞ্জ টি এ হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। প্রধান আলোচক থাকবেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান (রিপন)।

বিশেষ অতিথি থাকবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মোশারেফ হোসেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা, ৫নং পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাসমত উল্লাহ (হাসু)। সুয়াগঞ্জ টি.এ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান রিপন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবত্তী সময়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৈরি পোশাক রপ্তানি ও বিদেশে কর্মরত ভাই-বোনদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পদক্ষেপের ফলে অবকাঠামো খাতসহ প্রায় সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সবার কাছে রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও সচেতন লোকদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে লক্ষ্যে আমি সর্বদা এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

তিনি আরো বলেন, বাবার মৃত্যুর পর তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত “আবদুর রহমান মাস্টার ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে সহস্রাধিক মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে টিকা নেওয়ার কাজেও সহযোগিতা, ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, ইফতার সামগ্রী, ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। এই বছরেও সদর দক্ষিণ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় তিন সহস্রাধিক গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শতাধিক অসহায় পরিবারকে প্রায় প্রতি মাসেই আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। গেল বছরেও উপজেলার প্রায় সবকটি হাই স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীদেরকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এই বছরও উপজেলার সবকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দাখিল/ফাজিল মাদরাসার চারশ ৩২ জন এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৭ জন সহ ৪৬৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর ২০/২৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টিম এনে ফাউন্ডেশনের বড়চর কেন্দ্রে সহস্রাধিক লোককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতি মাসে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে মহাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সদর দক্ষিণের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কার্যালয় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ফাউন্ডেশনে কয়েকশত স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে বিনামূল্যে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে সময় এবং শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রান সহয়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া খেলাধুলার জন্য এলাকার তরুণদেরকে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করা হচ্ছে। ব্যাক্তিগতভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়তা করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান (রিপন) বলেন, সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন বিজিএমইএ’র আন্তর্জাতিক মার্কেট ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে বিজিএমইএ’র সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, মসজিদ, ক্লাব ও সোসাইটির সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উনার আজন্ম স্বপ্ন এলাকার মানুষের পাশে থাকা। তাই তিনি এলাকার মানুষের পরামর্শ নিয়ে এই এলাকার মানুষের উন্নয়ন এবং কল্যাণে তিনি একসাথে কাজ করতে চান।

সংবাদ সম্মেলনে শেষে সাংবাদিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন তিনি। এসময় আব্দুর রহমান মাষ্টার ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার শিপনসহ কুমিল্লার বিভিন্ন গনমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page