০৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ডিবি পরিচয়ে গরুবোঝাই ট্রাকে ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে ১৫ গরু লুট শেখ হাসিনার ফাঁসির মিষ্টি বিতরণ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী নিহত রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ কুমিল্লার দেবিদ্বারে যুবলীগ নেতা বিল্লাল গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় জামায়াত কর্মীর গাড়িতে আগুন কুমিল্লায় বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে : খন্দকার মোশাররফ শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে “হাসনাত আবদুল্লার” এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই -ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন

কুমিল্লায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিহত; আহত ১৫

  • তারিখ : ০২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 63

মেঘনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ও নলডাঙা গ্রামের মো. আব্বাসের ছেলে নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন- স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, দুই দিন ধরেই ওই এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে অন্তত ১০ জন আহত ও একজন নিহত হন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই দিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা করেছি। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিহত নিজামের স্ত্রী সালমা আক্তার ও ভাই সানাউল্লাহ সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে চালিভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর শুনে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যান নিজাম। সেখানে প্রতিপক্ষের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। নিজামসহ আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক নিজামকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কুমিল্লার মেঘনা থেকে অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে নিজাম নামে একজন মারা গেছেন। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নিহত; আহত ১৫

তারিখ : ০২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মেঘনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ও নলডাঙা গ্রামের মো. আব্বাসের ছেলে নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন- স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, দুই দিন ধরেই ওই এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে অন্তত ১০ জন আহত ও একজন নিহত হন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই দিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা করেছি। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিহত নিজামের স্ত্রী সালমা আক্তার ও ভাই সানাউল্লাহ সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে চালিভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর শুনে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যান নিজাম। সেখানে প্রতিপক্ষের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। নিজামসহ আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক নিজামকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কুমিল্লার মেঘনা থেকে অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে নিজাম নামে একজন মারা গেছেন। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।