নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় এপ্রিল মাসে ১০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৩টি; এর মধ্যে ১২টি ধর্ষণের ঘটনা।
এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে ২৫৬টি। জেলায় এপ্রিল মাসে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ৫শ’ টি।
এপ্রিল মাসে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে ২টি পিস্তল, ২টি পাইপগান, ১১টি কার্তুজ, ১২০ রাউন্ড গুলি, ৮টি দেশীয় অস্ত্র ও ৪টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা আইনশৃঙ্খল কমিটির এপ্রিল মাসের অপরাধ চিত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে উপস্থাপিত গুরুতর অপরাধ বিবরনী থেকে আরো জানা গেছে, এপ্রিল মাসে ১০ টি খুন ছাড়াও একটি ডাকাতি, দস্যুতা ২টিসহ ৫০টি অপমৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিগত সভার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৪ মাসে কুমিল্লায় ৩৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি মাসে ১০টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪টি, মার্চ মাসে ১০টি এবং এপ্রিল মাসে ১০টি।
সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তিতাস উপজেলা যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্য তৈরী করে। এছাড়া মে মাসেও কুমিল্লায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি, মাত্র ১০০ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণে এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তার বন্ধু এবং প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেলে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা করে প্রেমিকার বাবা-চাচা, এই দুই ঘটনায় বেশ তোলপাড় তৈরী হয় স্থানীয় ভাবে।
এদিকে পর পর হত্যাকান্ডের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, কুমিল্লার মত বড় জেলায় প্রতি মাসে গড়ে ১০টির মত খুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এসব ঘটনা যে কারনে ঘটছে তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারনে এসব ঘটনা ঘটছে না। বরং খুবই তুচ্ছ কারণে এসব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে মানুষ। পুলিশ চেষ্টা করছে – যে কোন অপরাধ সংগঠিত হবার পর দ্রুত সাড়া দিতে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে। এসব খুনের ঘটনার পর পরই আমরা প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের অনেককেই দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page