০৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ির ট্যাংকে জামাতার লাশ; স্ত্রীসহ চারজনের স্বীকারোক্তি, রহস্য উদঘাটন মুরাদনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রাণীপ্রেমীদের মিলনমেলা, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কুমিল্লায় ৫ মিনিটের ঝটিকা মিছিল, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতার কুমিল্লায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ায় শিশুদের হাতে বাইসাইকেল ও কোরআন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- এম আউয়াল খান মুরাদনগরে সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান আজ থেকে কুবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে দুইতলা বাস কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে সীমান্ত থেকে ২৬ লাখ টাকার বাজি আটক

কুমিল্লায় কমিটি দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

  • তারিখ : ১০:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 52

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে একপক্ষের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলাম মন্টু ও আক্তার বেপারী। সোমবার মজিদপুর ইউনিয়নের মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কাউন্সিল শুরু হলে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা কাউন্সিলে যাওয়ার পথে জানতে পারে, মাজেদুল ইসলাম মন্টু বহিরাগতদের নিয়ে কাউন্সিলস্থলে আসছেন। তখন আক্তার বেপারীর লোকজন মন্টুর গাড়ি বহরে হামলা চালায়।

তাদের অভিযোগ, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন মাজেদুল ইসলাম মন্টু। তারা এ কমিটিগুলো বিলুপ্ত করে পুনরায় নতুন করে কমিটি করার জন্য উপজেলা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তাদের দাবি, মাজেদুল ইসলাম মন্টু আওয়ামী পরিবারের লোক। তার বড় ভাই শাহ আলম তিতাস উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট উপজেলার মৌটুপী বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এসে মন্টুর উপস্থিতিতে মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে ।

প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী আক্তার বেপারী বলেন, আমি সম্মেলনস্থলে ছিলাম, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি লোকজন বহিরাগতদের আটক করেছে। এ সময় ওসিকে সঙ্গে নিয়ে উভয়কে সরিয়ে দিয়েছি।

মাজেদুল ইসলাম মন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো বহিরাগত লোক নেইনি। সবাই আমার উপজেলার দড়কান্দি ও শোলাকান্দির লোক। তারা বিএনপির লোক।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূইয়া বলেন, কাউন্সিলস্থল থেকে অনেক দূরে ঝগড়া হয়েছে। তবে আমাদের কাউন্সিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

তিতাস থানার ওসি শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় কমিটি দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

তারিখ : ১০:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে একপক্ষের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলাম মন্টু ও আক্তার বেপারী। সোমবার মজিদপুর ইউনিয়নের মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কাউন্সিল শুরু হলে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা কাউন্সিলে যাওয়ার পথে জানতে পারে, মাজেদুল ইসলাম মন্টু বহিরাগতদের নিয়ে কাউন্সিলস্থলে আসছেন। তখন আক্তার বেপারীর লোকজন মন্টুর গাড়ি বহরে হামলা চালায়।

তাদের অভিযোগ, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন মাজেদুল ইসলাম মন্টু। তারা এ কমিটিগুলো বিলুপ্ত করে পুনরায় নতুন করে কমিটি করার জন্য উপজেলা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তাদের দাবি, মাজেদুল ইসলাম মন্টু আওয়ামী পরিবারের লোক। তার বড় ভাই শাহ আলম তিতাস উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট উপজেলার মৌটুপী বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এসে মন্টুর উপস্থিতিতে মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে ।

প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী আক্তার বেপারী বলেন, আমি সম্মেলনস্থলে ছিলাম, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি লোকজন বহিরাগতদের আটক করেছে। এ সময় ওসিকে সঙ্গে নিয়ে উভয়কে সরিয়ে দিয়েছি।

মাজেদুল ইসলাম মন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো বহিরাগত লোক নেইনি। সবাই আমার উপজেলার দড়কান্দি ও শোলাকান্দির লোক। তারা বিএনপির লোক।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূইয়া বলেন, কাউন্সিলস্থল থেকে অনেক দূরে ঝগড়া হয়েছে। তবে আমাদের কাউন্সিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

তিতাস থানার ওসি শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।