০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আমেনা বেগম গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে কালভার্টের নিচ থেকে ১২ ফুট অজগর উদ্ধার, বনে অবমুক্ত কুমিল্লায় নতুন ইউটার্নে লরিচাপায় প্রবাসী নিহত; মহাসড়ক অবরোধ হোমনায় শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথে দেয়াল নির্মাণ চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কুমিল্লায় মিথ্যাচারের শিকার পুলিশ কর্মকর্তা, নেপথ্যে যানজট নিরসনে কঠোর ভূমিকা মুরাদনগর জুরে শিশু-কিশোরদের হাতে অটোরিকশা; দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি চরমে কুমিল্লায় সেনা অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১ কুমিল্লার মুরাদনগরে পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ২০২৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হবে ৪টি হল ও ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন: কুবি উপাচার্য

কুমিল্লায় মাদক বিক্রির দায়ে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড

  • তারিখ : ১০:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • 85

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে মাদক বিক্রির অভিযোগে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ১২টায় সেনাবাহিনী ও লালমাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা।

অভিযানে উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের ফাজিলপুর (গজারিয়া সংলগ্ন) এলাকার ফজু মিয়ার বাড়িতে ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও সেবনের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শামীম (৪৩), তার ভাই মামুন (১৮), মা পারভীন (৬০) ও খালা বেলায়েতুন নেছা (৫০)। শামীম ও মামুনকে ৫ মাস এবং পারভীন ও বেলায়েতুন নেছাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাজিলপুর গ্রামের এই পরিবারটি প্রায় ৩০ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথমে পারভীনের শাশুড়ি ফজু মাদক ব্যবসা শুরু করেন। পরে তার ছেলে দুলাল মিয়া এই ব্যবসা চালিয়ে যান। এখন পারভীন, তার দুই ছেলে ও বোন সক্রিয়ভাবে এই চক্রে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকত। এমনকি আশপাশের গ্রামগুলোতেও তাদের মাদকের বিক্রয়কর্মী রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “একই পরিবারের চারজনকে মাদক ব্যবসার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা জানান, “অভিযানে আটক ব্যক্তিরা অপরাধ স্বীকার করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনস্বার্থে এমন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় মাদক বিক্রির দায়ে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড

তারিখ : ১০:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে মাদক বিক্রির অভিযোগে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ১২টায় সেনাবাহিনী ও লালমাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা।

অভিযানে উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের ফাজিলপুর (গজারিয়া সংলগ্ন) এলাকার ফজু মিয়ার বাড়িতে ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও সেবনের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শামীম (৪৩), তার ভাই মামুন (১৮), মা পারভীন (৬০) ও খালা বেলায়েতুন নেছা (৫০)। শামীম ও মামুনকে ৫ মাস এবং পারভীন ও বেলায়েতুন নেছাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাজিলপুর গ্রামের এই পরিবারটি প্রায় ৩০ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকার মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথমে পারভীনের শাশুড়ি ফজু মাদক ব্যবসা শুরু করেন। পরে তার ছেলে দুলাল মিয়া এই ব্যবসা চালিয়ে যান। এখন পারভীন, তার দুই ছেলে ও বোন সক্রিয়ভাবে এই চক্রে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকত। এমনকি আশপাশের গ্রামগুলোতেও তাদের মাদকের বিক্রয়কর্মী রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “একই পরিবারের চারজনকে মাদক ব্যবসার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা জানান, “অভিযানে আটক ব্যক্তিরা অপরাধ স্বীকার করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনস্বার্থে এমন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।”