স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় জর্জকোটে দ্রুত বিচার আইনে( দ্রুত সি আর মামলা : ৩৬/২৪,তারিখ:-১৯.০৮.২০২৪ইং) ও কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানাতে এফ আই আর (জি আর) পৃথক ঘটনার উপর ভিত্তি করে পৃথক দুটি মামলা করে এজহার নামীয় আসামী ও তাদের পরক্ষ ইন্ধন দাতা ও মদদদাতা সন্ত্রাসী বাহিনী যারা কিনা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূয়া নাম ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে ( জি আর নাম্বার-৪১/৮৫০,তারিখ:-১৪.১১.২০২৪ইং) ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহকে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভ্রান্তি করে মূল মামলার গতিবিধি নস্ট করার জন্য বিপাকে ফেলেছেন মানবাধিকার সাংবাদিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে।
ভুক্তভোগী মওদুদ আব্দুল্লাহ কুমিল্লায় মওদুদ আব্দুল্লাহ নামে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী বাহিনী। চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এ ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন তিনি।তার পিছনে সর্বদা আসামিপক্ষের পরোক্ষ লোকজন বিভিন্ন ছদ্মবেশে ঘোরাফেরা করে এবং মামলা প্রত্যাহারে হুমকি প্রদান করত প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে,তারি ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানাতে তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা যে সাধারণ ডায়েরি করা হয়
জি ডি নং-২২৪২ তারিখ: ২৯/৫/২০২৫ইং
শুক্রবার ২০জুন দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার মওদুদ আব্দুল্লাহ।তার গোটা পরিবার পরিজন সদস্যদের আইনগত সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানায় সর্বশেষ কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার কে অবগত করে অনলাইন জি ডি দায়ের করে।যাহার নাম্বার -১৪৯০,তারিখ:-২১.০৪.২০২৫।সাধারণ ডায়েরি ( জি ডি) টি অনলাইনে ভবিষ্যৎ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য রেকর্ড করা হয়। উক্ত তদন্তের আয়ু কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই ফিরোজ।
জানা গেছে, মওদুদ আব্দুল্লাহ একজন ছোটখাটো ঠিকাদার। ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ঠিকাদারি ব্যবসার কারণে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তিনি। গত বছরের আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। ওই ফোনকলের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। চাঁদা না দিলে ঠিকাদারি কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।আসামিপক্ষের পরোক্ষ লোকজনরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নানা কৌশল অবলম্বন করে মামলার গতি বেশি নষ্ট করার জন্য মামলার গতিবিধি নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন তথ্য বিভ্রান্তি তথ্য গুজব ও ফেইক ফেইসবুক আইডি খুলে নানাবিদ তথ্য অপপ্রচার করে আসছে এবং কিছু ভাড়াটিয়া লোকদেরকে দিয়ে আর পিছনে লাগিয়ে নানাবিদ হয়রানি সহ হত্যা চেষ্টা করেন এবং তবে আগার চেষ্টা করেন।
ওই বছরের ৪ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগী মওদুদ তার ঠিকাদারি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে কুমিল্লার টিক্কারচর ব্রিজ এলাকায় এলে মাস্ক পরিহিত সন্ত্রাসীরা তার পথরোধ করে। এ সময় অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে সড়কে ফেলে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। ঘটনার পর আসামীদের দল ভুক্তভোগীর সরাসরি ও মোবাইল নম্বরে আবারও ফোন দিয়ে এবং টেক্সট মেসেজ দিয়ে মামলা না করার হুমকি দেওয়া হয়। মামলা করলে পুরো পরিবারের ক্ষতিসহ মওদুদকে গুম করে ফেলা হবে বলে জানায় সন্ত্রাসীরা।
এসব ঘটনা যখন চলছিল, ছাত্র-জনতার আন্দোলন তখন তুঙ্গে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলন দমন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কারও সহায়তা পাননি ভুক্তভোগী পরিবার। পরবর্তীতে সরকার পতনের পর গত ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগী মওদুদ বাদী হয়ে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) নির্দেশ দেন।
পিবিআই তদন্ত করিয়া উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে পক্ষে ও আসামিদের বিপক্ষে আদালতে দাখিল করা হয়।
মামলার পর ভুক্তভোগী একদিন মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে করে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান এবং পুনরায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মওদুদ কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হামলা ও চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এই মামলায় ৮ জন অপরাধে অভিজুক্ত নামীয় আসামী আসামীসহ সহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা রেকর্ড হয়।পুলিশ সহ যৌথবাহিনী মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার পর পুলিশ সহজ যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে যুবলীগের এক সক্রিয় নেতাকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখন আসামী পক্ষের পরোক্ষ লোকজন ও ইন্ধনদাতা -মসদদাতারা প্রতিনিয়ত মামলা দুটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং বিভিন্ন খারাপ কর্মকান্ড সামাজিক ও রাজনৈতিক তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বৈরী আবহাওয়া তৈরি করে মামলা দুইটিকে নস্ট করার জন্য নানাবিধ ভাবে হয়রানিসহ নিয়মিত ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন আসামিরা।
ভুক্তভোগী মওদুদ আব্দুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছেন। দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশ মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকিরা সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনি বলেন, সেই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছে, আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ক্লোন করেছে। ইমু আইডি হ্যাক করেছে। মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি এবং এসব বিষয় উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ২০ ২৫ইং একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।যাহার নাম্বার-২২২, সেটি আদালতে নন এফআইআর মামলা হিসেবে ইতিমধ্যে প্রসিকিউশন দাখিল করেছে। সম্প্রতি ‘স্যার বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসীদের একটি বাহিনী আমার বাসার নিচে নিয়মিত আনাগোনা করে। তারা আমাকে এখনো মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমার পুরো পরিবারের ক্ষতি করবে। আমার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া কলেজে মাস্টার্সে পড়ে। তাকে কলেজে যাওয়ার সময় অ্যাসিড মারবে বলে হুমকি দেয়। আমার স্ত্রী ভয়ে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে।
তিনি আরও বলেন, আসামী পক্ষের লোক ও তাদের ইন্ধন দাতা প্রতিনিয়ত সামাজিক ও রাজনৈতিক তথ্য বিভ্রান্তি করার জন্য টাকা দিয়ে ভাড়া করে ‘স্যার বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত কয়েকজন দুর্বৃত্ত অবস্থান নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে সদ্য কুমিল্লা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার, কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার, কোম্পানি কমান্ডার- র্যাব ১১ সি পি সি ২, কর্নেল জি এস – ডি জি এফ আই( কুমিল্লা সেনানিবাস), যুগ্নগরিচালক -এন এস আই (জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, কুমিল্লা) লিখিত ভাবে উক্ত কর্মকর্তাগণদের আইনগত ব্যবস্থা ও অবহিতকরণ প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ, দায়ের করা মামলা ও এফ আই আর কপি এবং কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত জি ডি সংযুক্ত করে দাখিল করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে উক্ত অভিযোগ দাখিল করার পরও বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমি এর প্রতিকার চাচ্ছি।
এ বিষয়ে আদালতে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মোসলেহ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে শিগগিরই।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা ব্যবস্থা গ্রহন করার লক্ষ্যে অভিজান পরিচালনা করা হচ্ছে একজন কে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। বাদী অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানায় একটু গরমিল করেছিলেন। সেজন্য আসামি শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারে একটু সময় লাগছে।তবে অতি দ্রুত সকল জান নামীয় আসামিদের গ্রেফতার সহ এদের পরোক্ষ মদদ দাতা ও ইন্ধনদাতা সহ যতচক্র জড়িত আছে সকলদেবকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান আমাদের কুমিল্লাকে বলেন, ভুনক্তভোগী মানবাধিকার সাংবাদিক শুভ্রকে ব্যাপারে কুমিল্লা থানা পুলিশ ও ডি বি পুলিশকে তাকে আইনগত সহজোগিতা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page