মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
কুমিল্লায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করায় আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ির ফটক রাম দা দিয়ে কোপানো ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে রাত ৮ টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ভুক্তভোগী ওই আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেন খোকন। তিনি কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে মোবারক হোসেন খোকন বলেন, কাউন্সিলর সোহেল খুনের পর আমি একজন ভালো প্রার্থীকে বেছে তাকে সমর্থন করি। বিষয়টি ভালো লাগেননি প্রয়াত কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সেহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা টাউনহলে বর্ধিত সভায় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহার রুনাকে ১৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করেন।
এরপরই রুনা দলবল নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা করেন। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গালমন্দ করেন। এ সময় তার সাথে থাকা অন্তত ৩০ -৩৫ জন আমার বাড়ির মূল ফটক রামদা দিয়ে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর রুনার নেতৃত্বে এসব ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও আমার বাসায় হামলা হয়েছে৷ আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। এবার মামলা করবো।
আওয়ামীলীগ নেতা খোকন বলেন, যারা আমার বাসায় এসে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে৷ রামদা দিয়ে কুপিয়েছে তারা এই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আমি মাদক ব্যবসায়ীদের সমর্থন না দেয়ার রুনা এসব হামলা করাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার আমি ঘটনাটি কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত আকারে দাখিল করবো।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী শাহনাজ আক্তার রুনা আক্তার বলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ভাই আজ আমাকে ১৭ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষনা করেন। তারপর আমি খোকন ভাইয়ের বাসার সামনে দিয়ে আমার স্বামীর কবর জেয়ারত করতে যাই। আমার সাথে সাংবাদিক ছিলো। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তারা যে অভিযোগ তুলেছে তা মিথ্যা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page