০২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারল না চৌদ্দগ্রামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কুমিল্লা কারাগারে গাঁজাসহ দর্শনার্থীকে আটক, তিন মাসের কারাদণ্ড আমাকে সুযোগ দিন আমি হতাশ করব না- মনিরুল হক চৌধুরী অতীতের বেইমানরা আজও আছে; মানুষ বদলায়, কিন্তু বেইমানির স্বভাব বদলায় না -হাজী ইয়াছিন কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী সংগ্রামদলের মানববন্ধন; বিদ্যুৎ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়াদের গুলিতে ৩ বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু কুমিল্লায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ড্রামট্রাক চালক নিহত বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুমিল্লায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে খুর দিয়ে জবা-ই করার চেষ্টা প্রতিবেশী নারীর

  • তারিখ : ০৯:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 28

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরীর রামমালা সার্ভে ইন্সটিটিউট এর বিপরীত পাশে আদর্শ ক্রিস্টাল গার্ডেন সিটি বিল্ডিং এ ফ্ল্যাট নাম্বার 8A এর ভাড়াটিয়া জিয়াসমিন আক্তার (৪০) এর হাতে একই ভবনের 9C এর ভাড়াটিয়ার মেয়ে নাবিলা চৌধুরী (১২) জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভিংয়ে ব্যবহৃত খুর দিয়ে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে।

ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা(১৩) এবং ভিকটিম নাবিলা চৌধুরী খুব ভালো বন্ধু ছিলো।

ঘটনা ঘটার কিছুক্ষন আগেও প্রতিবেশী ঘাতক জিয়াসমিনদের বাসায় নাবিলা তার পালিত বিড়াল নিয়ে বান্ধবী সুমনাকে দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সুমনাকে ঘুমন্ত দেখে সে তার নিজের বাসায় চলে আসে।

কিছুক্ষণ পর জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভ করার জন্য ব্যবহৃত খুর নিয়ে ভিকটিম নাবিলাদের বাসায় যায়। সে সময় নাবিলা তার মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিলো। নাবিলাদের বাসায় গিয়ে ঘাতক জিয়াসমিন নাবিলাকে গোপন কথা আছে তাই তার মায়ের পাশ থেকে উঠে আসতে বললে নাবিলা তাকে নিয়ে ড্রইং রুমে যায়।

এর কিছুক্ষন পর নাবিলার গোঙানির আওয়াজ শুনে তার মা বিছানা থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখতে পায় ঘাতক জিয়াসমিন তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে খুর দিয়ে গলায় এলোপাতাড়ি আঘাত করছে, এসময় তিনি ধাক্কা দিয়ে ঘাতক
জিয়াসমিন আক্তারকে সরাতে গেলে ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার তার উপরেও হামলা করতে আসে।

তখন ভিকটিম নাবিলার মা শরীফা চৌধুরী চিৎকার চেচামেচি করলে ঘাতক জিয়াসমিন খুরটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। শরীফা চৌধুরীর চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন জড় হয়ে যায় এবং নাবিলাকে উদ্ধার করে হলিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং পুলিশকে খবর দেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান “শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। নাবিলা এখন অনেকটাই আশংকামুক্ত “”

পুলিশ বলছে এটি একটি রহস্যজনক হত্যাচেষ্টা আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর স্বামী বিসিক শিল্পনগরীর “ইউএস ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের” এর স্বত্বাধিকারী।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে খুর দিয়ে জবা-ই করার চেষ্টা প্রতিবেশী নারীর

তারিখ : ০৯:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরীর রামমালা সার্ভে ইন্সটিটিউট এর বিপরীত পাশে আদর্শ ক্রিস্টাল গার্ডেন সিটি বিল্ডিং এ ফ্ল্যাট নাম্বার 8A এর ভাড়াটিয়া জিয়াসমিন আক্তার (৪০) এর হাতে একই ভবনের 9C এর ভাড়াটিয়ার মেয়ে নাবিলা চৌধুরী (১২) জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভিংয়ে ব্যবহৃত খুর দিয়ে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে।

ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা(১৩) এবং ভিকটিম নাবিলা চৌধুরী খুব ভালো বন্ধু ছিলো।

ঘটনা ঘটার কিছুক্ষন আগেও প্রতিবেশী ঘাতক জিয়াসমিনদের বাসায় নাবিলা তার পালিত বিড়াল নিয়ে বান্ধবী সুমনাকে দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সুমনাকে ঘুমন্ত দেখে সে তার নিজের বাসায় চলে আসে।

কিছুক্ষণ পর জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভ করার জন্য ব্যবহৃত খুর নিয়ে ভিকটিম নাবিলাদের বাসায় যায়। সে সময় নাবিলা তার মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিলো। নাবিলাদের বাসায় গিয়ে ঘাতক জিয়াসমিন নাবিলাকে গোপন কথা আছে তাই তার মায়ের পাশ থেকে উঠে আসতে বললে নাবিলা তাকে নিয়ে ড্রইং রুমে যায়।

এর কিছুক্ষন পর নাবিলার গোঙানির আওয়াজ শুনে তার মা বিছানা থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখতে পায় ঘাতক জিয়াসমিন তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে খুর দিয়ে গলায় এলোপাতাড়ি আঘাত করছে, এসময় তিনি ধাক্কা দিয়ে ঘাতক
জিয়াসমিন আক্তারকে সরাতে গেলে ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার তার উপরেও হামলা করতে আসে।

তখন ভিকটিম নাবিলার মা শরীফা চৌধুরী চিৎকার চেচামেচি করলে ঘাতক জিয়াসমিন খুরটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। শরীফা চৌধুরীর চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন জড় হয়ে যায় এবং নাবিলাকে উদ্ধার করে হলিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং পুলিশকে খবর দেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান “শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। নাবিলা এখন অনেকটাই আশংকামুক্ত “”

পুলিশ বলছে এটি একটি রহস্যজনক হত্যাচেষ্টা আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর স্বামী বিসিক শিল্পনগরীর “ইউএস ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের” এর স্বত্বাধিকারী।