কুমিল্লায় হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর ভিড় বাড়ছে

নেকবর হোসেন।।
নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ভীড় করছেন অভিভাবকরা।

তীব্র শীতের কারনেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ড এবং সদর হাসপাতালে শিশু বিভাগে এই শিশুরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। যেসব শিশুর অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আসছে তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে ওয়ার্ডে।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানান যায়, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেল মাসে ঠাণ্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২১ জন ও নিউমোনিয়া ২৫০জন। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে অনেক। তবে হাসপাতালে শিশু রোগিদের সংখ্যা অনেক বেশি। শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অভিভাবকরা।

জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা মুরাদনগর উপজেলায়, তারপর দেবিদ্বার ও বুড়িচংয়ে। মুরাদনগরে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬১ শিশু। কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লাকসামের নূর জাহান আলম পুতুল শিশু বাচ্চার শ্বাস কন্ঠ জনিত কারনে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। প্রথমে স্থানীয় ডাক্তাদের দেখান রোগীর উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ হাসপাতালে সদর দক্ষিনের লালমাই, বিজয়পুর থেকে এসেছেন সুমাইয়া আক্তার, হালিমা বেগম। প্রচন্ড শীতে সর্দি কার্শিসহ ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের সন্তানরা।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাশিক চিকিৎসক (শিশু), ডাঃ মোঃ নাজমুস সিহান বলেন, কুমিল্লা শীতকালে শিশুদের ঠান্ডাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়া হাসপাতালে বাড়ছে রোগির সংখ্যা। বিশেষ করে ডাইরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। নিঠান্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা ডাইরিয়ার পাশাপাশি অল্প সময়ে বমি করে এবং শরীর নেতিয়ে পড়ে, শরীরে লবনের তারতম্য দেখা দেয়।

এসময় ৬ মাসের শিশু হলে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ৬ মাসের বেশি হলে পারিবারিক খাবার, ডাবের পানি চিড়ার পানি ওরস্যালাইন, কাচাকলার সবজি এগুলোতে খাওয়াতে হবে। নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক সাধারন যত্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদা লেবু পানি গরম করে খাওয়াতে হবে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, শীতে রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে ১৭ উপজেলার ১৫টি স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে বাড়তি ওষধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। রোগীদের জন্য এখানে সাকার মেশিন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, সিলিন্ডার অক্সিজেন, নেবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ করা হচ্ছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page