০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারল না চৌদ্দগ্রামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কুমিল্লা কারাগারে গাঁজাসহ দর্শনার্থীকে আটক, তিন মাসের কারাদণ্ড আমাকে সুযোগ দিন আমি হতাশ করব না- মনিরুল হক চৌধুরী অতীতের বেইমানরা আজও আছে; মানুষ বদলায়, কিন্তু বেইমানির স্বভাব বদলায় না -হাজী ইয়াছিন কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী সংগ্রামদলের মানববন্ধন; বিদ্যুৎ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়াদের গুলিতে ৩ বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু কুমিল্লায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ড্রামট্রাক চালক নিহত বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম বিভাগে আবারো শ্রেষ্ঠ তালিকায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও সদর দক্ষিণের ইউএনও

  • তারিখ : ০৫:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • 28

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও ঝড়ে পড়া রোধে ভূমিকা রাখায় চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান । একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হয়েছেন জেলার সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিষ ঘোষ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার বিভাগে শ্রেষ্ঠ হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, যে কোন স্বীকৃতি কাজের গতি বৃদ্ধি করে। আমার এই প্রাপ্তি মূলত টিম ওয়ার্ক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাধার দেয়াল ডিঙিয়ে সফল হওয়া যায়। আমি সেভাবেই কাজ করছি। আরো কাজ করতে চাই। সারাদেশে যেন কুমিল্লা রোল মডেল হয়। সবার সহযোগীতা কামনা করছি।

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমি ২০২০ সালের দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করি। তখন চারদিকে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়তে থাকে প্রাথমিকে ঝড়ে পড়া। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি চিন্তা করি কিভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করা যায়। সে লক্ষ্য যে সব স্কুলে ঝড়ে পড়ার হার বেশী সেসব স্কুলের তালিকা ধরে কাজ করি। অনলাইন ক্লাশ চালু রাখি। শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে যাই। তাদের সমস্যা শুনি এবং এবং সে অনুযায়ী কাজ করি।

পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধের সময়কায় একটি পরিত্যক্ত স্কুলকে শিক্ষা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি। কোটবাড়ি সালমানপুরে ত্রিপুরাদের জন্য তাদের মাতৃভাষা ককবরক স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। ককবরক ভাষায় বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেই। সম্ভবত এসব কাজেই বিভাগে আমাকে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে উপজেলাবাসীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

error: Content is protected !!

চট্টগ্রাম বিভাগে আবারো শ্রেষ্ঠ তালিকায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও সদর দক্ষিণের ইউএনও

তারিখ : ০৫:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও ঝড়ে পড়া রোধে ভূমিকা রাখায় চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান । একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হয়েছেন জেলার সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিষ ঘোষ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার বিভাগে শ্রেষ্ঠ হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, যে কোন স্বীকৃতি কাজের গতি বৃদ্ধি করে। আমার এই প্রাপ্তি মূলত টিম ওয়ার্ক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাধার দেয়াল ডিঙিয়ে সফল হওয়া যায়। আমি সেভাবেই কাজ করছি। আরো কাজ করতে চাই। সারাদেশে যেন কুমিল্লা রোল মডেল হয়। সবার সহযোগীতা কামনা করছি।

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমি ২০২০ সালের দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করি। তখন চারদিকে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়তে থাকে প্রাথমিকে ঝড়ে পড়া। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি চিন্তা করি কিভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করা যায়। সে লক্ষ্য যে সব স্কুলে ঝড়ে পড়ার হার বেশী সেসব স্কুলের তালিকা ধরে কাজ করি। অনলাইন ক্লাশ চালু রাখি। শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে যাই। তাদের সমস্যা শুনি এবং এবং সে অনুযায়ী কাজ করি।

পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধের সময়কায় একটি পরিত্যক্ত স্কুলকে শিক্ষা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি। কোটবাড়ি সালমানপুরে ত্রিপুরাদের জন্য তাদের মাতৃভাষা ককবরক স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। ককবরক ভাষায় বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেই। সম্ভবত এসব কাজেই বিভাগে আমাকে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে উপজেলাবাসীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।