চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদারসহ গ্রাম্য শালিসদারদেরকে হয়রানি করার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মাহফুজ মজুমদার।
বক্তব্যে মাহফুজ মজুমদার বলেন, ‘দেড়কোটা গ্রামের মৃত মুজিবুল হক ও রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বসতভিটার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। বিবাদমান বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে গ্রামবাসীর কাছে প্রতিকার চাইলে গ্রামবাসী কয়েকদফা বৈঠকে বসে। বৈঠকে বাদী মোহাম্মদ আলী সঠিক কোনো দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কাগজপত্র সংগ্রহ করার নিমিত্তে বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করে তাকে আরো সময় প্রদান করেন গ্রাম্য শালিসদারগণ। এভাবে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও সে প্রকৃত ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় গ্রামবাসী বারবার বৈঠক পিছিয়ে মোহাম্মদ আলীকে দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য পূনরায় সময় দেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মোহাম্মদ আলী বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে বিবাদীপক্ষের ৬ জনসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদার ও গ্রাম্য শালিসদার মানিক ভূঁইয়া ও বশির আহমেদের নাম উল্লেখপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যা সত্য নয় মর্মে গ্রাম্যবাসী গণস্বাক্ষর কার্যক্রম পরিচালনাসহ আজকে প্রতিবাদ সভা করেছে। জেনে অবাক হবেন যে, আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ১ নভেম্বর বিকাল তিন ঘটিকা। কিন্তু মামলার সাথে সংযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে সময় দেখানো হয়েছে একইদিন দুুপুর ০২: ২৪ ঘটিকা। এছাড়া সংযুক্ত চিকিৎসাপত্রে নাপা ট্যাবলেট ব্যতিত কোনো ঔধষই লিখেননি কর্তব্যরত চিকিৎসক। এতেই বুঝা যায় মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মামলার বাদী মোহাম্মদ আলীসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি করছি। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘৃণিত কাজ কেউ করার সাহস না পায়। এ সময় তিনি গ্রামবাসীকে সকল অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য মামলার বাদী মোহাম্মদ আলীর মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page