মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
বই দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানালো শিশুরা। ব্যতিক্রম এমন আয়োজন করা হয়েছে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার বিভিন্ন পাঠাগারে।
ব্যতিক্রম আয়োজনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ১১ টি পাঠাগার। যেগুলো কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত। ওই পাঠাগারের পাঠকদের অংশগ্রহণেই এমন আয়োজন হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে পাঠাগারের উদ্যোক্তা ও পাঠকদের নিয়ে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। পরে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী পাঠকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন
বই দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে অংশগ্রহণকারী পাঠাগারগুলোর মধ্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পাঠকুঞ্জ ও বিজ্ঞান ক্লাব, বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগার, আলোকিত পূর্ব জোড়কানন পাঠাগার, অমর একুশে পাঠাগার, জামাল হক স্মৃতি পাঠাগার ও যুব ক্রীড়া ক্লাব, স্বনির্ভর যুব উন্নয়ন পাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব, স্বপ্ন-চূড়া ওয়েলফেয়ার পাঠাগার, হিউম্যান ব্রাইট পাবলিক লাইব্রেরি, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমিতি পাঠাগার, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব, দক্ষিণ আছাড় ও আবিদ আলী দরবেশ স্মৃতি পাঠাগার।
ব্যতিক্রমি এই আয়োজনটি ঘটে সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায়।
ইউএনও শুভাশিস ঘোস বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্য কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলায় একশ পাঠাগার তৈরীর পরিকল্পনা করেছি৷ এগুলো এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বই দিয়ে তৈরী মিনার এবং সেই মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি পাঠকদের শ্রদ্ধার আয়োজন করেছি।
এমন মহতি আয়োজনে শতধিক বই প্রেমী পাঠক উপস্থিত ছিলেন এবং ভিন্ন আঙ্গিকে শহিদের স্মরণ করেন। পাঠকরা মনে করেন সেদিন রক্ত দিয়ে বাংলার মর্যাদা রক্ষা করা না গেলে, এ ভাষায় সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার হতো কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ। ভাষা শহিদদের আত্মদানের কারণে আজ আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলি, কবিতা লিখি, গান শুনি, উপন্যাস কিংবা নাটক রচনা করি।
নিঃসন্দেহে এমন আয়োজনে পাঠক, বই ও ভাষার একটি নতুন মাত্রা সংযোজন ঘটে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page