আতাউর রহমান।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া জাফরান আরশির ( ৮ ) অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রোববার ( ৯ নভেম্বর ) তার বড় বোন সাদিয়া আফরিন আলভিকে ( ১৬ ) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার ( ৯ নভেম্বর ) সকালে শিশু সামিয়া জাফরান আরশির মৃত্যুর ঘটনায় মা তামান্না আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) টমাস বড়ুয়া।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে আরশি ও আলভি দুই বোন দুপুরের খাবার খেয়ে তাদের শোবার ঘরে শুয়ে পড়ে। এ সময় তাদের দাদি ফাতেমা বেগম নামাজ শেষে বাইরে যাওয়ার সময় বড় বোন আলভিকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করতে বলেন। আলভি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে থাকা গোসলখানায় গোসল করতে যান।
আলভি গোসল সেরে বাইরে বের হয়ে ছোট বোন আরশির কাছে যান। সেখানে গিয়ে আরশির সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ে ঘটা খুঁটিনাটি বিষয়কে কেন্দ্র করে রাগে ক্ষোভে লোহার পাইপ ( চুঙ্গি ) দিয়ে মাথায় আঘাত করেন ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আরশির শ্বাসরোধ করেন।
পরে বড় বোন আলভি আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। আশপাশের লোকজন বাড়িতে এসে আরশিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) টমাস বড়ুয়া বলেন, শিশু আরশি হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন আলভি অভিযুক্ত প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আলভি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং হত্যার দায় স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ( ৮ নভেম্বর ) বিকেলে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামের সবদর আলী হাজী বাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া জাফরান আরশি ওই এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ও তামান্না আক্তার দম্পতির মেয়ে। অভিযুক্ত সাদিয়া আফরিন আলভি তাদের বড় মেয়ে ও নিহতের আপন বড় বোন।











