মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মণ্ডলীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “সর্বোচ্চ মেধা বিকাশ, ভালো ছাত্র ও ভালো মানুষ গড়ার প্রত্যয়” এই স্লোগানকে লাল করে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (১৯-২১ নভেম্বর) তিন দিনব্যাপী কলেজ মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলতাফ হোসেন।
মতবিনিময় সভার প্রথম দিনে প্রতিষ্ঠানটির প্রভাষক মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মো. কবির আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক মানস কুমার রায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ লাভলু, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মো. শাহ আলম ঠিকাদার, আব্দুর সাত্তার।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রভাষক শরিফ মোহাম্মদ রেজা, বশির আহাম্মদ, মমিনুল হক ভূইয়া, নেসার আহমেদ, মারজিয়া সুলতানা, মোস্তাক আহমেদ, সুমন রানা, শহিদুল ইসলাম, লিপি সরকার, আকতার আখন্দ, মাহবুবুর রহমান, আয়শা নূর, মরিয়ম বিবি মলি, দিপা আক্তার সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে তার সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন অগ্রগতির খোঁজ খবর রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেক অভিভাবক অন্তত সপ্তাহে একদিন শিক্ষকদের নিকট তার সন্তানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন। নিজের সন্তানের খোঁজ খবর নেয়া উচিত। নিজের সন্তানকে পড়ালেখাসহ নৈতিক উৎকর্ষতার তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি অন্যের সন্তনকেও সে বিষয়ে উৎসাহী করে তুলতে হবে।
সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা ও শ্রেণির পাঠ গ্রহণে উৎসাহ দেয়া প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী ও বাস্তব ভিত্তিক করার জন্য শিক্ষার্থীকে বাসায় অধ্যবসায় করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে ও অভিভাবককে সচেতন হতে হবে।
শিক্ষার উন্নয়নে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত ও সচেতন করে তোলাই বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষকদের যেমন অভিভাকদের পরামর্শ বা যুক্তিগুলো মন দিয়ে শুনতে হবে তেমনি অভিভাবকদের ও শিক্ষকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। অভিভাবক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কলেজের পড়াশোনার পরিবেশ উন্নয়নকল্পে তারা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে পারমর্শ প্রদান করে থাকেন। এভাবেই যদি শিক্ষক অভিভাবক হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারেন তবেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page