ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন; অপির ব্যাংক ঋণ ৯০ লাখ, সোহরাবের সম্পত্তি ১৩ কোটি

জহিরুল হক বাবু।।
আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপ। এই ধাপে কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর এই ৪ টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যারিষ্টার সোহরাব খান চৌধুরী (আনারস), আমিনুল ইসলাম সুজন (দোয়াত কলম), আবু তৈয়ব অপি (ঘোড়া) ও সরকার জহিরুল হক মিঠুন (টেলিফোন)

নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সম্পদে এগিয়ে আছেন সোহরাব খান চৌধূরী, আর ব্যাংক ঋণগ্রস্থ প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি।

হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোহরাব খান চৌধূরীর নগদ টাকাসহ মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ কোটি ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৫ টাকা।

এই প্রার্থী বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৪০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৬০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৪ টাকা। নগদ টাকা আছে ৪০ লক্ষ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৮ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ এর তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ারের পরিমাণ ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৫৩। গাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। স্বর্ণের পরিমাণ ১২৭ তোলা যার মূল্য অজানা। টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, এসি ইত্যাদি মিলিয়ে মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২০০ শতক জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ১৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ডুপ্লেক্স বাড়ি ৪০ লক্ষ টাকা। ১৪ টি ফ্লাটের মূল্যে দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৫০ টাকা।

এই আয়ের বিপরীতে সোহরাব খান চৌধূরীর কোন ধরনের ব্যাংক ঋণ নেই।

অন্যদিকে মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি, তার নগদ টাকাসহ মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। আয়ের উৎস তিনি দেখিয়েছেন ঠিকাদারি ব্যবসা। তার ব্যবসার মূলধন হিসেবে বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ১৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৩৫ হাজার টাকা। তার নগদ টাকার পরিমান ১০ লক্ষ। ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার আছে যার মূল্য অজানা। ফ্রিজ, টিভি, ওভেন এর মূল্য ১ লাখ টাকা আসবাপপত্রের মূল্য ৬৫ হাজার টাকা। তার কোন ধরনের কৃষি জমি অথবা অকৃষি জমি নেই।

সম্পত্তির পরিমাণ কম হলেও এই প্রার্থী ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছেন। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, কুমিল্লা শাখা থেকে একক নামে ৮৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৪৪ টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি।

আরেক প্রার্থী সরকার জহিরুল হক মিঠুনের আয়ের উৎস ব্যবসা। তার ব্যবসা হতে বাৎসরিক আয় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, এই প্রার্থীর কাছে নগদ টাকা আছে ২ লক্ষ। ব্যাংকে জমা আছে ৩ লক্ষ ২ হাজার। এ ছাড়া ৪ ভরি স্বর্ণ, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন ২ লক্ষ টাকা। আসবাপপাত্র ১ লক্ষ টাকা। এ প্রার্থীর নামে কোন ধরনের ঋণ নেই।

আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। চাকুরি থেকে তার বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমা আছে ১৫ হাজার। এছাড়া টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, সোফা, ডাইনিং টেবিল ইত্যাদি মিলিয়ে তার আছে দুই লক্ষ টাকা। এই প্রার্থীর নামেও কোন ধরনের ঋণ নেই।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page