মহাসড়কের পাশে আবর্জনা, দুর্ভোগে পথচারী-ব্যবসায়ীরা

এন.সি জুয়েল।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের নিমসার বাজার দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশজুড়ে বিশাল এলাকাজুড়ে বাজারটির অবস্থান। ব্যস্ততম এই বাজারটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় প্রতিদিনই বাজারের তরকারির উচ্ছিষ্ট অংশ মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র স্থানে ফেলা হচ্ছে। এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে পথচারী,মহাসড়কে চলচলকারী সকল যাত্রীসহ বাজারে আসা ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের অন্তর্গত নিমসার এলাকায় বিগত ১৯ শতকের ৮০ দশকের শুরুতে বাজারটি চালু হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশসহ রোডডিভাইডারের মাঝেও কেনাবেচা চলে। প্রতিদিনই বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, যশোর, পাবনা,বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, চাঁদপুর, নোয়াখালীসহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাইকারসহ কৃষকরা নানাজাতের তরকারি, শাক-সবজি, মৌসুমী ফল ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিক-আপসহ বিভিন্ন যানবাহনে এই বাজারে নিয়ে আসছে। বাজারটিতে মূলত রাত বাড়ার সাথে সাথে ব্যস্ততা বেড়ে দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে কর্মব্যস্ততা কমে আসে।

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পণ্যসামগ্রী আড়তগুলোতে আনার পর আবার সেই মালগুলো অন্য পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছে পরবর্তীতে অন্য কোনো জেলা বা স্থানীয় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায়। অভিযোগ রয়েছে মহাসড়কের উপর অসংখ্য ট্রাক, কাভার্ডভ্যান গাড়িতে রেখেই মালামাল বিক্রি করায় প্রতিদিন গভীর রাত থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত নিমসার বাজারের ফোরলেনের উভয় অংশে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় ব্যস্ততম, মহাসড়কে চলাচলরত দ্রুতগতির যানবাহন চালকদের দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমিয়ে বাজারটি পারাপার হতে দেখা যায়। এছাড়াও রোড ডিভাইডারে অনেক বিক্রেতা মালামাল বিক্রি করায় দুর্ঘটনার আশংকায় থাকে অনেক ক্রেতা বিক্রেতা।

তবে সবচেয়ে দুর্ভোগ বাজারের অবিক্রিত পচে, গলে যাওয়া পণ্য ও তরকারির উচ্ছিষ্ট বাজারে নির্দিষ্ট কোন আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় বিক্রেতারা মহাসড়কের পাশেই ফেলে দিচ্ছে। আর এভাবেই মহাসড়কের পাশে জমছে আবর্জনার স্তুপ। এতে প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলরত পথচারী, ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে মহাসড়কের পাশে উচ্ছিষ্ট ফেলায় মানুষ বাধ্য হয়ে সড়কের উপর দিয়ে পারাপার হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা পড়ে হতাহত হচ্ছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এতদিন বাজারটি সরকার এককভাবে ইজারা দিলেও সম্প্রতি সরকারি নির্দিষ্ট বাজারের স্থানের বাইরেও ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থানে পৃথক পৃথক বাজার পরিচালনা করছে। এতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বাজারের অবস্থান। আর এজন্য একাধিক স্থানে আবর্জনার স্তূপ জমছে। এছাড়াও তারা বলেন, বাজারে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে ময়লা ফেলার স্থান নেই।

বিষয়টি জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, বাজারের ইজারাদারকে চিঠি দিয়েছি। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মামলা দায়েরের সুপারিশ চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছি।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page