নিজস্ব প্রতিবেদক।।
“ করোনাকালে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় বছর শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও দূরে ছিল। এ সময়ে ঘরে বসে তারা নানা কুঅভ্যাস রপ্ত করেছে। স্মাটফোনে তাদের প্রবল আসক্তি বেড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। কেউ কেউ আবার মানসিক ভিষন্নতায় ভোগছে।
তাদের এখন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন শিক্ষক -অভিভাবকদের ব্যাপক কাউন্সিলিং। বিশেষ বাবা-মায়ের দৃষ্টি অত্যাবশ্যক। সন্তান যাতে খারাপ পথে পা না বাড়ায় সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে, মাদকের ছোবলে পড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে। অপসংস্কৃতি চর্চা ও অপব্যবহার রোধে স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরকে স্মাটফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। এসব বিষয় নজরদারী রাখলে আপনার সন্তান কখনো বিপথগামী হবে না। আইন প্রয়োগ করে নীতিবোধের শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। সামাজিক অবক্ষয় রোধে পরিবার এবং অভিভাবকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডে শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানন্নোয়ন ও ইভটিজিং প্রতিরোধ এবং অভিভাবক সমাবেশে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুছ ফারুকী।
শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কবির হোসেন ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল । স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম শাওন, অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জসীম উদ্দিন,মনজুরুল ইসলাম, ছাবিনা ইয়াসমিন, সমাজসেবক ইসহাক মিয়া, উম্মেত আলী, আতিকুর রহমান সবুজ, আবুল হাসেম মেম্বার,কাউসারা পারভীন স্বপ্না প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম মজুমদার, সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার, মমিনুল ইসলাম, তফাজ্জল হোসেন, সেলিম হোসেন,জসিম উদ্দিন ভূইয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহরিন আক্তার ।