০৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ির ট্যাংকে জামাতার লাশ; স্ত্রীসহ চারজনের স্বীকারোক্তি, রহস্য উদঘাটন মুরাদনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রাণীপ্রেমীদের মিলনমেলা, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কুমিল্লায় ৫ মিনিটের ঝটিকা মিছিল, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতার কুমিল্লায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ায় শিশুদের হাতে বাইসাইকেল ও কোরআন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- এম আউয়াল খান মুরাদনগরে সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান আজ থেকে কুবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে দুইতলা বাস কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে সীমান্ত থেকে ২৬ লাখ টাকার বাজি আটক

সৌদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন কার্যকর; কর্মস্থল পরিবর্তনে অনুমতি বাধ্যতামূলক

  • তারিখ : ০৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • 54

স্টাফ রিপোর্টার।।
সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন শ্রম আইন কার্যকর করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত শ্রমিকরা এখন থেকে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া তাঁদের কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন না। সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাঁদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এক নিয়োগকর্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্মস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে আগের নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।’

সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কর্মক্ষেত্র। দেশটি তাদের শ্রমবাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম আইন সংস্কার করছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়।

নতুন আইন অনুসারে—

* চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে ৩০ দিন আগে অবহিত করতে হবে।

* নিয়োগকর্তারা চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে কর্মীদের ৬০ দিন আগে জানাবেন।

* মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে।

* পরীক্ষামূলক কাজের সময়সীমা সর্বোচ্চ ১৮০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

* চুক্তি বাতিলের পর প্রবাসী শ্রমিকদের রিটার্ন টিকিট খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়োগকর্তার।

২০২০ সালে সৌদি আরব প্রথমবার শ্রম আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের স্বাধীনতা বাড়ে এবং নিয়োগকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকদের ভ্রমণ বা পুনঃপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং শ্রমবাজারকে আরও স্থিতিশীল করা।

error: Content is protected !!

সৌদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন কার্যকর; কর্মস্থল পরিবর্তনে অনুমতি বাধ্যতামূলক

তারিখ : ০৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন শ্রম আইন কার্যকর করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত শ্রমিকরা এখন থেকে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া তাঁদের কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন না। সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাঁদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এক নিয়োগকর্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্মস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে আগের নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।’

সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কর্মক্ষেত্র। দেশটি তাদের শ্রমবাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম আইন সংস্কার করছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়।

নতুন আইন অনুসারে—

* চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে ৩০ দিন আগে অবহিত করতে হবে।

* নিয়োগকর্তারা চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে কর্মীদের ৬০ দিন আগে জানাবেন।

* মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে।

* পরীক্ষামূলক কাজের সময়সীমা সর্বোচ্চ ১৮০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

* চুক্তি বাতিলের পর প্রবাসী শ্রমিকদের রিটার্ন টিকিট খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়োগকর্তার।

২০২০ সালে সৌদি আরব প্রথমবার শ্রম আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের স্বাধীনতা বাড়ে এবং নিয়োগকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকদের ভ্রমণ বা পুনঃপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং শ্রমবাজারকে আরও স্থিতিশীল করা।