০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সাবেক-৯ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ; যান চলাচল বন্ধ কুমিল্লায় মসজিদে নামাজরত যুবককে ছুরিকাঘাত: অভিযুক্ত ২ জন গ্রেপ্তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে, একই পরিবারের ৭ জন নিহত যারা নিজেদের স্বার্থে জনগণকে বঞ্চিত করে, তাদের বিএনপিতে ঠাঁই নেই -ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক শাহরাস্তিতে গণঅভ্যুত্থান দিবসের র‍্যালিতে অংশ নিতে এসে যুবদল নেতার মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি এক-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে জয় লাভ করবে: ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বুড়িচংয়ে মসজিদে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন দাউদকান্দিতে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়েত ইসলামীর গণমিছিল দাউদকান্দিতে শহীদদের সমাধিতে প্রশাসনের পুষ্পস্তবক অর্পণ

সৌদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন কার্যকর; কর্মস্থল পরিবর্তনে অনুমতি বাধ্যতামূলক

  • তারিখ : ০৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • 3

স্টাফ রিপোর্টার।।
সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন শ্রম আইন কার্যকর করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত শ্রমিকরা এখন থেকে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া তাঁদের কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন না। সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাঁদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এক নিয়োগকর্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্মস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে আগের নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।’

সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কর্মক্ষেত্র। দেশটি তাদের শ্রমবাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম আইন সংস্কার করছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়।

নতুন আইন অনুসারে—

* চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে ৩০ দিন আগে অবহিত করতে হবে।

* নিয়োগকর্তারা চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে কর্মীদের ৬০ দিন আগে জানাবেন।

* মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে।

* পরীক্ষামূলক কাজের সময়সীমা সর্বোচ্চ ১৮০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

* চুক্তি বাতিলের পর প্রবাসী শ্রমিকদের রিটার্ন টিকিট খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়োগকর্তার।

২০২০ সালে সৌদি আরব প্রথমবার শ্রম আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের স্বাধীনতা বাড়ে এবং নিয়োগকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকদের ভ্রমণ বা পুনঃপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং শ্রমবাজারকে আরও স্থিতিশীল করা।

সৌদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন কার্যকর; কর্মস্থল পরিবর্তনে অনুমতি বাধ্যতামূলক

তারিখ : ০৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন শ্রম আইন কার্যকর করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত শ্রমিকরা এখন থেকে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া তাঁদের কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন না। সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাঁদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এক নিয়োগকর্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কর্মস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে আগের নিয়োগকর্তার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।’

সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কর্মক্ষেত্র। দেশটি তাদের শ্রমবাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রম আইন সংস্কার করছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়।

নতুন আইন অনুসারে—

* চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে ৩০ দিন আগে অবহিত করতে হবে।

* নিয়োগকর্তারা চুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে কর্মীদের ৬০ দিন আগে জানাবেন।

* মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে।

* পরীক্ষামূলক কাজের সময়সীমা সর্বোচ্চ ১৮০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

* চুক্তি বাতিলের পর প্রবাসী শ্রমিকদের রিটার্ন টিকিট খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়োগকর্তার।

২০২০ সালে সৌদি আরব প্রথমবার শ্রম আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের স্বাধীনতা বাড়ে এবং নিয়োগকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকদের ভ্রমণ বা পুনঃপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতে, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং শ্রমবাজারকে আরও স্থিতিশীল করা।