০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি একমাত্র ছেলে, বাকরুদ্ধ বাবা-মা বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনায় কুমিল্লায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বুড়িচংয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার যুবক কামরুল নিহত মদিনার কাফেলা বাংলাদেশ বুড়িচং উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাট ‘‘মেসার্স বিএমবি ব্রিকসের’’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ কুমিল্লার ৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি; ২টি শরিক দলের জন্য ছাড়

অখণ্ড কুবির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

  • তারিখ : ০৪:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 31

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৪ ই ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবী, ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত না করে বর্তমান ক্যাম্পাসের চারপাশে জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হোক।

এলাকাবাসীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেছি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি৷ এমনকি নিজেদের স্বার্থের কথা না ভেবে অনেকেই জমি দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কিলোমিটার দূরে নিজেদের জমি বিক্রি করে ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত করার পায়তারা করছে।’

জনি নামের এক এলাকাবাসী বলেন, ‘বর্তমান ক্যাম্পাস সমতল জায়গা রয়েছে। এ ক্যাম্পাসের আশেপাশে জায়গা থাকতে কেন অন্য জায়গা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সরকার আমাদের যে দামে জমি অধিগ্রহণ করবে আমরা জমি দিব। তবুও ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করতে দিব না। আমরা আশেপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভাড়া বাসা তৈরি করেছি। সেইগুলো কোনভাবে নষ্ট হতে দিব না। এখানে এত পরিমান সমতল জায়গা থাকতে কেন পাহাড় এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেখানে জমি অধিগ্রহণের নামে সরকারী অর্থের লুটপাট চলছে।’

সোহাগ আলী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকতে চাই, যারা জমি অধিগ্রহণ নামে লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজন দশ হাজার টাকার ড্রাইভার কিভাবে এত বিঘার জমির মালিক হয়। আমরা কোনভাবে এই ক্যাম্পাস দ্বিখ-িত করতে দিব না।

মোস্তাফা কামাল বলেন, আমার নিজের জমি এই বর্তমান ক্যাম্পাসে অধিগ্রহণের সময় দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আরো দিতে পারব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমরা সব করতে পারি। যারা ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার কাজে লিপ্ত তাদেরকে আমরা চিনি। যখন থেকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয় কয়েকজন নিজেদের লোকজন দিয়ে জমি দখল করছে। এই ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করতে দেওয়া হবেনা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অক্টোবরে ১৬৫৫ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের আওতায় বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কি. মি. দূরে জমি অধিগ্রহণ করতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কি. মি. দূরে ক্যাম্পাস করায় শুরু থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ২০১৮ সালে ২৮ অক্টোবর ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদে দোকান ও রাস্তা অবরোধ করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।

error: Content is protected !!

অখণ্ড কুবির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

তারিখ : ০৪:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৪ ই ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবী, ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত না করে বর্তমান ক্যাম্পাসের চারপাশে জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হোক।

এলাকাবাসীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেছি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি৷ এমনকি নিজেদের স্বার্থের কথা না ভেবে অনেকেই জমি দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কিলোমিটার দূরে নিজেদের জমি বিক্রি করে ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত করার পায়তারা করছে।’

জনি নামের এক এলাকাবাসী বলেন, ‘বর্তমান ক্যাম্পাস সমতল জায়গা রয়েছে। এ ক্যাম্পাসের আশেপাশে জায়গা থাকতে কেন অন্য জায়গা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সরকার আমাদের যে দামে জমি অধিগ্রহণ করবে আমরা জমি দিব। তবুও ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করতে দিব না। আমরা আশেপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভাড়া বাসা তৈরি করেছি। সেইগুলো কোনভাবে নষ্ট হতে দিব না। এখানে এত পরিমান সমতল জায়গা থাকতে কেন পাহাড় এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেখানে জমি অধিগ্রহণের নামে সরকারী অর্থের লুটপাট চলছে।’

সোহাগ আলী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকতে চাই, যারা জমি অধিগ্রহণ নামে লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজন দশ হাজার টাকার ড্রাইভার কিভাবে এত বিঘার জমির মালিক হয়। আমরা কোনভাবে এই ক্যাম্পাস দ্বিখ-িত করতে দিব না।

মোস্তাফা কামাল বলেন, আমার নিজের জমি এই বর্তমান ক্যাম্পাসে অধিগ্রহণের সময় দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আরো দিতে পারব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমরা সব করতে পারি। যারা ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করার কাজে লিপ্ত তাদেরকে আমরা চিনি। যখন থেকে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয় কয়েকজন নিজেদের লোকজন দিয়ে জমি দখল করছে। এই ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডিত করতে দেওয়া হবেনা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অক্টোবরে ১৬৫৫ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের আওতায় বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কি. মি. দূরে জমি অধিগ্রহণ করতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১.২ কি. মি. দূরে ক্যাম্পাস করায় শুরু থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ২০১৮ সালে ২৮ অক্টোবর ক্যাম্পাসকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদে দোকান ও রাস্তা অবরোধ করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।