মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা। লোকজনের আনাগোনা কম। সারি সারি গাড়ি নেই। নেই হাকডাক। সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা নিরবে আসছেন। সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। নেই দলীয় পরিচয়ের লোকজনের ভীড়ভাট্টা। নেই দালালদের দৌরাত্ব। এভাবেই চলছে মেয়র ছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন।
তবে ওয়ার্ডগুলোতে সেবাপ্রত্যাশীরা সঠিক সময়ে সেবা পাচ্ছেন না। কারন একটাই কাউন্সিলররা নির্বাচনের কারনে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। তাদের মেয়াদ শেষ। তাই তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রচার-প্রচারনায়।
মাত্র তিনজন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে পুরো সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের কাজ। এতে করে সেবার গতি কমে ভোগান্তি কিছুটা বেড়েছে।
নগরীর ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবু সায়েম ভূইয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডসহ ১১ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ১৯ নম্বর থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ মাঈণ উদ্দিন চিশতী।
গত ১১ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে দায়িত্ব গ্রহণের অফিস আদেশ দেয়া হয়। গত ১৬ মে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর ১৭ মে থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতার দায়িত্ব পালন শুরু করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম। সেবার গতি এবং মান নিয়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. সফিকুল ইসলাম।
ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে এখন দুটি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সেবা দেয়ার জন্য এখন তিনজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। কারো জন্ম-মৃত্যু সনদ লাগলে সেগুলোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তারপর সিটি কর্পোরেশনে অন্যান্য যেসব কাজ আছে সেগুলোও করা হচ্ছে। আমরা অবৈধ দালান কোটার বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়াও অনেকে হোল্ডিং টেক্সের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণখেলাপি আছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো। আমাদের কাজ স্বাভাবিক আছে। নগরবাসীর যেন কোন নিতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখছি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page