০৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মুরাদনগরের আকুবপুর ইউপিতে প্রশাসকের দায়িত্বে পাভেল খান পাপ্পু বুড়িচংয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যা: সৎকারে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ১৭ জনকে শোকজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে “সফল আত্মকর্মী” পুরস্কার পেলেন কুমিল্লার লাভলী ৪৩তম জাতীয় জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ রানার্সআপ প্রাইজমানি বিতরণ কুমিল্লায় ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে খাল খনন করলেন বিএনপি নেতারা বাংলা প্রেসক্লাব ভেনিসের আয়োজনে তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা কুমিল্লার সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন

সিত্রাংয়ে কুমিল্লায় ৬৫২ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি

  • তারিখ : ০৭:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • 3

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কুমিল্লায় ৬৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। এর মধ্যে ধানি জমি ছিল ৩৬৭ হেক্টর এবং শাকসবজি চাষাবাদের জমি ছিল ২৮৫ হেক্টর।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কুমিল্লায় ৬২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিত্রাং কুমিল্লা অতিক্রমকালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ ফিরতে শুরু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ের গতি অনুযায়ী আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। ধানের এখনও ফুল হয়নি, তাই ক্ষতি কম হয়েছে। তবে, গোমতী ও মেঘনার চরের এবং তিতাস ও হোমনা এলাকায় সবজি চাষের জমির বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ ক্ষতির প্রভাব ১০ দিনের মধ্যে কেটে যাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কুমিল্লার কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, সিত্রাং কুমিল্লায় ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী ছিল। এর পরিসর অনেক বড় ছিল। তাছাড়া যে গতিতে এটি কুমিল্লা অতিক্রম করেছে, তা এ জেলার প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি। লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাতাস ও বৃষ্টি আমরা যে অবজারভেটরিতে পরিমাপ করি, তা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার জন্য। অনেক সময় কুমিল্লার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি, বাতাস হলে এই অবজারভেটরিতে নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। আমার ধারণা, আমাদের কেন্দ্রে রেকর্ড করা বাতাস থেকে জেলার দক্ষিণাংশে বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের চালে গাছ পড়ে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল গ্রামে তিনজনের মৃত্যু হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘরের চাল ভেঙে গাছটি খাটের ওপর পড়লে তারা চাপা পড়ে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মুত্যু হয়। মেঙ্গলবার বাদ জোহর তাদের দাফর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত নিজাম উদ্দিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। ১০ দিন আগে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। বাড়িতে একটি ভবন তুলেছিলেন তিনি। তিনদিন পরেই তাদের নতুন ঘরে ওঠার কথা ছিল।

সিত্রাংয়ে কুমিল্লায় ৬৫২ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি

তারিখ : ০৭:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কুমিল্লায় ৬৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। এর মধ্যে ধানি জমি ছিল ৩৬৭ হেক্টর এবং শাকসবজি চাষাবাদের জমি ছিল ২৮৫ হেক্টর।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কুমিল্লায় ৬২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিত্রাং কুমিল্লা অতিক্রমকালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ ফিরতে শুরু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ের গতি অনুযায়ী আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। ধানের এখনও ফুল হয়নি, তাই ক্ষতি কম হয়েছে। তবে, গোমতী ও মেঘনার চরের এবং তিতাস ও হোমনা এলাকায় সবজি চাষের জমির বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ ক্ষতির প্রভাব ১০ দিনের মধ্যে কেটে যাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কুমিল্লার কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, সিত্রাং কুমিল্লায় ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী ছিল। এর পরিসর অনেক বড় ছিল। তাছাড়া যে গতিতে এটি কুমিল্লা অতিক্রম করেছে, তা এ জেলার প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি। লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাতাস ও বৃষ্টি আমরা যে অবজারভেটরিতে পরিমাপ করি, তা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার জন্য। অনেক সময় কুমিল্লার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি, বাতাস হলে এই অবজারভেটরিতে নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। আমার ধারণা, আমাদের কেন্দ্রে রেকর্ড করা বাতাস থেকে জেলার দক্ষিণাংশে বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের চালে গাছ পড়ে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল গ্রামে তিনজনের মৃত্যু হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘরের চাল ভেঙে গাছটি খাটের ওপর পড়লে তারা চাপা পড়ে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মুত্যু হয়। মেঙ্গলবার বাদ জোহর তাদের দাফর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত নিজাম উদ্দিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। ১০ দিন আগে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। বাড়িতে একটি ভবন তুলেছিলেন তিনি। তিনদিন পরেই তাদের নতুন ঘরে ওঠার কথা ছিল।