মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কুমিল্লায় ৬৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। এর মধ্যে ধানি জমি ছিল ৩৬৭ হেক্টর এবং শাকসবজি চাষাবাদের জমি ছিল ২৮৫ হেক্টর।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কুমিল্লায় ৬২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিত্রাং কুমিল্লা অতিক্রমকালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ ফিরতে শুরু করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ের গতি অনুযায়ী আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। ধানের এখনও ফুল হয়নি, তাই ক্ষতি কম হয়েছে। তবে, গোমতী ও মেঘনার চরের এবং তিতাস ও হোমনা এলাকায় সবজি চাষের জমির বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ ক্ষতির প্রভাব ১০ দিনের মধ্যে কেটে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কুমিল্লার কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, সিত্রাং কুমিল্লায় ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী ছিল। এর পরিসর অনেক বড় ছিল। তাছাড়া যে গতিতে এটি কুমিল্লা অতিক্রম করেছে, তা এ জেলার প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি। লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাতাস ও বৃষ্টি আমরা যে অবজারভেটরিতে পরিমাপ করি, তা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার জন্য। অনেক সময় কুমিল্লার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি, বাতাস হলে এই অবজারভেটরিতে নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। আমার ধারণা, আমাদের কেন্দ্রে রেকর্ড করা বাতাস থেকে জেলার দক্ষিণাংশে বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের চালে গাছ পড়ে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল গ্রামে তিনজনের মৃত্যু হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘরের চাল ভেঙে গাছটি খাটের ওপর পড়লে তারা চাপা পড়ে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মুত্যু হয়। মেঙ্গলবার বাদ জোহর তাদের দাফর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত নিজাম উদ্দিন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। ১০ দিন আগে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। বাড়িতে একটি ভবন তুলেছিলেন তিনি। তিনদিন পরেই তাদের নতুন ঘরে ওঠার কথা ছিল।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page