০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা ব্যর্থ ইউনূস সরকার; কুমিল্লায় ইসলামী ৮ দলের নেতারা কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লার নতুন জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান দেবিদ্বারে লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কুমিল্লায় মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা হাজী ইয়াছিনের পক্ষে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি; ১১তম দিনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান

কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রাম পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • তারিখ : ০৯:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • 56

মনির হোসাইন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রাম পুলিশের দফাদার ও তার ছেলে কর্তৃক এলাকাবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রাজনগর গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনগর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন অংশগ্রহন করেন। এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ সাহেব আলী কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার হিসেবে কর্মরত আছেন সে গ্রাম পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকান্ড করে আসছেন। তাছাড়া ছেলে মো: মামুন এলাকার লোকজন ও এনজিও’র মাধ্যমে লোন ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছেন না। এলাকাবাসীকে মামুনকে ঋণ পরিশোধে বিষয়ে কিছু বললেই করছেন নানাভাবে হয়রানি এবং এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দিচ্ছেন থানায় একের পর এক অভিযোগ। এ নিয়ে দফাদার সাহেব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে রাজনগর গ্রামবাসীর একাধিক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়ের করা হয়েছে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, অভিযুক্ত মামুনের শাশুড়ি সেলিনা বেগম, কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ০৮ নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য মোঃ খলিলুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য নূর-মোহাম্মদ, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন রুকন, মোঃ সাদেক মিয়া, বিল্লাল চৌধুরী, মোহাম্মদ লিটন সরকার, মোহাম্মদ বাবলু, জালাল মিয়া, মোসলেম, শিপন খান, দ্বীন ইসলাম খান, মামুন মিয়া প্রমুখ।

মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দফাদার সাহেব আলীর ছেলে মামুন মিয়া তার স্ত্রী সাথে ঝগড়া করে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে। এলাকাবাসী তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি সুরাহা সহ এলাকার মানুষদের কাছ থেকে মামুন মিয়ার ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধের বিষয়ে শালিশে বসতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন মিয়া তার স্ত্রীকে পুনরায় আবার তার সংসারে ফেরত নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে একের পর এক মোট ৪টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। গ্রাম পুলিশের দফাদার সাহেব আলী তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিতর্কিত কর্মকান্ড করে আসছেন। এবং তার ছেলে মামুন বাবার প্রভাবের কারনে এলাকাবাসীকে হয়রানি করছেন।

এ বিষয়ে মামুনের শাশুড়ি সেলিনা বেগম বলেন, মামুনের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করত। পরে আমি দুটি এনজিও’র কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা লোন নিয়ে মামুনকে দেই। সে ওই এনজিও’র টাকা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে আমার পরিবার এখন বেশ বিপাকে আছে। কিছুদিন আগে আমার মেয়ের সাথে ঝগড়া করে মেয়েকে তালাক দিয়ে সমাজের লোকজনকে জানায়। এর কিছুদিন পর আবার মামুন তার এলাকার কয়েকজন লোক নিয়ে আমার মেয়েকে তার সংসারে নিয়ে যায়। এখন আবার মেয়েকে নির্যাতন করছে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করায় মামুন তাদেরকে হয়রানি করছেন।

এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ফুল মিয়া, মোহাম্মদ আল-আমিন, মালেক মিয়া, মমিন খান, আবু হানিফ সওদাগর, তাজুল ইসলাম, ওমর মিয়া, অরুন মিয়া, মোমেন মিয়া প্রমুখ।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দফাদারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রাম পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

তারিখ : ০৯:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

মনির হোসাইন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রাম পুলিশের দফাদার ও তার ছেলে কর্তৃক এলাকাবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রাজনগর গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজনগর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন অংশগ্রহন করেন। এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ সাহেব আলী কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার হিসেবে কর্মরত আছেন সে গ্রাম পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকান্ড করে আসছেন। তাছাড়া ছেলে মো: মামুন এলাকার লোকজন ও এনজিও’র মাধ্যমে লোন ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছেন না। এলাকাবাসীকে মামুনকে ঋণ পরিশোধে বিষয়ে কিছু বললেই করছেন নানাভাবে হয়রানি এবং এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দিচ্ছেন থানায় একের পর এক অভিযোগ। এ নিয়ে দফাদার সাহেব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে রাজনগর গ্রামবাসীর একাধিক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়ের করা হয়েছে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, অভিযুক্ত মামুনের শাশুড়ি সেলিনা বেগম, কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ০৮ নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য মোঃ খলিলুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য নূর-মোহাম্মদ, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন রুকন, মোঃ সাদেক মিয়া, বিল্লাল চৌধুরী, মোহাম্মদ লিটন সরকার, মোহাম্মদ বাবলু, জালাল মিয়া, মোসলেম, শিপন খান, দ্বীন ইসলাম খান, মামুন মিয়া প্রমুখ।

মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দফাদার সাহেব আলীর ছেলে মামুন মিয়া তার স্ত্রী সাথে ঝগড়া করে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে। এলাকাবাসী তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি সুরাহা সহ এলাকার মানুষদের কাছ থেকে মামুন মিয়ার ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধের বিষয়ে শালিশে বসতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন মিয়া তার স্ত্রীকে পুনরায় আবার তার সংসারে ফেরত নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে একের পর এক মোট ৪টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। গ্রাম পুলিশের দফাদার সাহেব আলী তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিতর্কিত কর্মকান্ড করে আসছেন। এবং তার ছেলে মামুন বাবার প্রভাবের কারনে এলাকাবাসীকে হয়রানি করছেন।

এ বিষয়ে মামুনের শাশুড়ি সেলিনা বেগম বলেন, মামুনের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করত। পরে আমি দুটি এনজিও’র কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা লোন নিয়ে মামুনকে দেই। সে ওই এনজিও’র টাকা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে আমার পরিবার এখন বেশ বিপাকে আছে। কিছুদিন আগে আমার মেয়ের সাথে ঝগড়া করে মেয়েকে তালাক দিয়ে সমাজের লোকজনকে জানায়। এর কিছুদিন পর আবার মামুন তার এলাকার কয়েকজন লোক নিয়ে আমার মেয়েকে তার সংসারে নিয়ে যায়। এখন আবার মেয়েকে নির্যাতন করছে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করায় মামুন তাদেরকে হয়রানি করছেন।

এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ফুল মিয়া, মোহাম্মদ আল-আমিন, মালেক মিয়া, মমিন খান, আবু হানিফ সওদাগর, তাজুল ইসলাম, ওমর মিয়া, অরুন মিয়া, মোমেন মিয়া প্রমুখ।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দফাদারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।