ইতালি প্রতিনিধি: সরকার মোখলেছুর রহমান
ইতালিতে পরিবারের সাথে পিকনিকে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে আব্দুস সামাদ রাউফ (১২) নামে এক বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ইতালির মুলভেনো লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সামাদ ইটালি প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় ছেলে। তিনি ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকার মৃত আব্দুল সাদেক মেম্বারের নাতি। সামাদ ভেনিস শহরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার বাবা ভেনিসের এবিএম জাহাজ নির্মাণ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং প্রায় ২০ বছর ধরে ইতালিতে বসবাস করছেন।
এদিকে খবর পেয়ে ইটালী পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে মুমূর্ষু অবস্থায় রাউফকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ইতালীতে ও ভৈরব উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় কিশোর আ:সামাদ এর দাদার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, প্রায় বিশ বছর যাবত ইটালি বসবাস করছে আবু বক্কর সিদ্দিক।বিয়ের পর স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন তিনি।তাদের পরিবারের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।আব্দুস সামাদ রাউফ তাদের বড় ছেলে।সে ইটালির ভেনিস শহরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক ভেনিসের এবিএম জাহাজ নির্মাণ কোম্পানির চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ইটালী প্রবাসী ও নিহত শিশুর প্রতিবেশী সজিব আল হুসাইন বলেন, আমরা ইটালির ভেনিস মেসরে শহর থেকে একাধিক পরিবার পিকনিকে জন্য ইটালির মুলভেনো লেকের পাড় এলাকায় যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যার যার মতো করে পরিবার নিয়ে লেকের পানিতে গোসল করতে নামে। শিশু সামাদও পানিতে নেমেছিল।কিন্তু সামাদ তখন খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ আমরা শুনি সামাদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রথমে ভেবে ছিলাম সে হারিয়ে গিয়েছে। পরে সন্দেহ হলে সেই এলাকার স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস খবর দিলে তারা এসে লেকের পানি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোর তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরের মৃত্যু হয়। আমরা প্রবাসীরা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।মরদেহ দেশে আনবেন নাকি ইতালিতে দাফন করবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। ইতালিতেই দাফন করা হবে—এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।